গঙ্গার দূষণ :-
আদৌ পবিত্র আমাদের গঙ্গা ?
পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গা র একটি প্রধান শাখা নদী হুগলী। নদীর তীরে অবস্থান এক সময়কার ফরাসী উপনিবেশ চন্দননগরের। শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্টটিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে ওয়ান্ডার ল্যান্ড পার্ক নামে একটি বিনোদন কেন্দ্র যেখানে প্রতিদিন প্রচুর মানুষের সমাগম হয় বেড়ানো বা বনভোজনের উদ্দেশ্যে। এই নদী হিন্দু দের কাছে পবিত্র নদী বলে মানা হয়। তারা এই নদীকে দেবী জ্ঞান এ পুজো করেন । কিন্তু এই নদী কি এখনও পবিত্র আছে! যে মানুষরাই এই পবিত্র নদী কে দেবী ভাবে তারাই এই নদীর দূষণে র কারণ ।তাদের দ্বারাই
দূষণের কারণ:-
বিভিন্ন ভাবে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে এই ভগবান স্বরূপ পূজিত গঙ্গা দিনের পর দিন অপবিত্রতার অন্ধকারে নেমে যাচ্ছে।যা একটা সময় ঠিক করা অসম্ভব হতে চলবে তা কোনো সন্দেহের বিষয় নয়।
বর্তমান সময়়ে প্রতিনিয়ত গঙ্গা কে দূষিত করে চলা হয়েছে। হরিদ্বার্ এ প্রতিনিয়ত পুজো এর বর্জ্য সামগ্রিক গঙ্গা তে ফেলে দূষিত করা হচ্ছে ,নদী তে যাতায়াত এর জন্য ব্যবহৃত যানবাহন থেকে নির্গত তেল দূষিত করে তুলেছে গঙ্গা কে। এছাড়াও বিভিন্ন নতুন গড়ে ওঠা কলখারানা তো রয়েছেই ,সাথে আছে জলবাহি নৌকা,স্টিমার থেকে চুইয়ে পড়া তেল , পার্শ্ববর্তী হোটেল এর নানবিধ আবর্জনা।এভাবেই বছরের পর বছর ধরে ক্রমশ এই গঙ্গা পবিত্র থেকে হয়ে উঠছে অপবিত্র।
দূষণের ফলফাল:-
গঙ্গা দূষণের ফলে এই নদী তে বসবাসকারী প্রাণী রা আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়েছে।বন্ধ হতে চলেছে বিখ্যাত গঙ্গার শুশুক এর আনাগোনা।জলের আবর্জনায় ক্ষতি হচ্ছে বিভিন্ন জলজ প্রাণীর জৈবিক ক্রিয়াকলাপের এবং মৃত্যু হচ্ছে । শুধু যে জলজ প্রাণীদের ই ক্ষতি হয়ে চলেছে টা একেবারেই ভুল ধারণা,আমরা আস্তে আস্তে এক বিরাট মিস্টিজলের ভান্ডার কেউ হারিয়ে ফেলছি তবে এই বিষয় গুলি কেউ খুবেক্ত গুরুত্ব দেন না।
এই জল যা আগে পানিয় হিসাবে ব্যবহৃত হতো তা এখন পানের অনুপোযোগী।পান করতে হলে অনেক খরচ করে ফিল্টার করে টা ব্যবহার করার জায়গায় পৌঁছায়,অর্থাৎ বিষয়টা হয়ে দাড়ালো কোনো স্বাভাবিক জিনিস কে আমরা প্রথমে নষ্ট করছি তারপর পুনরায় তাকে স্ববিক করে সেটা আমার ব্যবহার করার চেষ্টা করছি।কিন্তু পরিস্থিতি এমন জায়গায় চলে যাচ্ছে যে কলকারখানার বজ্রপদার্থ এবং নদীর ধরে বিভিন্ন বজ্র্যউৎপদন জনিত কাজকর্মের ফলে এখন নদী এর জল আবর্জনা এর একটা স্তম্ভ হয়ে গাছে।
গৃহীত পরিকল্পনা:-
গঙ্গার জল শুদ্ধ করার প্রথম কাজ শুরু হয় ১৯৮৬ সালে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধী গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান এর সূচনা করেন যার উদ্দেশ্য ছিল নদীকে দূষন মুক্ত করা। শুরুতে পরিকল্পনা অনুযায়ি নদীতে যেসব নালা দূষিত জল বয়ে নিয়ে আসতো সেই নালাগুলোর মুখ ঘুরিয়ে দিয়ে নদী তীরবর্তী বর্জ্য পরিশোধন কেন্দ্রে প্রবাহিত করে তারপর তা পরিস্কার করে আবারো নদীতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতো।
প্রথম পর্যায়ে মূল নদীতে এই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ধাপে তা বর্ধিত করে দিল্লির মধ্য দিয়ে দিয়ে প্রবাহিত যমুনানহ গঙ্গার অন্যান্য শাখা নদীগুলোতে এই প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হয়।
২০০৯ সালে সমগ্র গঙ্গায় তা সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা নেয় সরকার।এই ভাবে আস্তে আস্তে সমস্ত নদী এই পরিকল্পনার আওতায় চলে আসে।তবে এখনও যে নদী দূষণমুক্ত হয়ে উঠেছে তা একদম ই ভুল ধারণা,এবং বছরের পর বছর নদীর তীরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন পন্যাশিল্পোজনিত যে আবর্জনা,গড়ে ওঠা মন্দির এর বর্জিত পদার্থ সবটাই কোনো বাধাহীন ভাবে নদীর বুকে মিশে চলেছে।
Which treats of the character and pursuits of the famous gentleman Don Quixote of La Mancha
In a village of La Mancha, the name of which I have no desire to call to mind, there lived not long since one of those gentlemen that keep a lance in the lance-rack, an old buckler, a lean hack, and a greyhound for coursing. An olla of rather more beef than mutton, a salad on most nights, scraps on Saturdays, lentils on Fridays, and a pigeon or so extra on Sundays, made away with three-quarters of his income.
The rest of it went in a doublet of fine cloth and velvet breeches and shoes to match for holidays, while on week-days he made a brave figure in his best homespun. He had in his house a housekeeper past forty, a niece under twenty, and a lad for the field and market-place, who used to saddle the hack as well as handle the bill-hook. The age of this gentleman of ours was bordering on fifty; he was of a hardy habit, spare, gaunt-featured, a very early riser and a great sportsman.