ছোটপর্দায় অভিনয় দিয়ে যাত্রা শুরু পরে ছোটপর্দার পাশাপাশি বড়পর্দায় একের পর এক ছবিতে সাবলীল অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকের মন জয় করেছেন মধুমিতা সরকার। ‘বোঝে না সে বোঝে না’, ‘কুসুমদোলা’, ‘কেয়ার করি না’-র মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন মধুমিতা।বড়পর্দায় মধুমিতা অভিনীত ‘চিনি’,’লাভ আজ কাল পরশু’ ইত্যাদি ছবিও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। সম্প্রতি ওয়েব সিরিজেও চুটিয়ে কাজ করছে অভিনেত্রী। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ও বেশ জনপ্রিয় মধুমিতা। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে নিজের ছবি,ভিডিও ভাগ করে নিলেই সেখানে নেটাগরিকেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কাটাছেঁড়া চলে নেট দুনিয়ায়। অভিনেতা সৌরভ চক্রবর্তীর সাথে বিবাহবিচ্ছেদের পরে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক কটাক্ষ শুনতে হয় অভিনেত্রীকে। তবে সেসব নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না অভিনেত্রী,তিনি বলেন একা থাকলে অনেক কিছুতেই জড়িয়ে দেওয়া সহজ তাই তাকে নিয়ে এত কন্ট্রোভার্সি। অভিনেত্রীর কথা বার্তায় প্রমাণ পাওয়া যায় যে তিনি এখনও হ্যাপিলি সিঙ্গেল।
সম্প্রতি অভিনেতা সৌরভ দাসের সঙ্গেও অভিনেত্রীর সম্পর্ক ঘিরে অনেক জল্পনা চলছে কিন্তু সেসব কিছুকে পাত্তা না দিয়ে বরং কাজেই মনোনিবেশ করেছেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে তার ছবি ও রিল ভিডিও মন কেড়েছে টলিপাড়ার বাইরের গুণীজনদেরও। অভিনেত্রীর ছবিতে ভালবাসার চিহ্ন এঁকে দিয়েছিলেন বলিউড তারকা বরুণ ধবন। এ বার প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের মনও তিনি জয় করে নিলেন । অভিনেত্রীর রিল ভিডিয়ো দেখে মুগ্ধ সে দেশের ব্লগার জাফর আলি। খবরটি আনন্দবাজার অনলাইনের কাছ থেকে প্রথম জানতে পারেন মধুমিতা। ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি আপ্লুত অভিনেত্রী।জাফর এর আগে অভিনেত্রীকে দেখেননি। আচমকাই রবিবার তাঁর নজরে আসে অভিনেত্রীর বানানো একাধিক রিল ভিডিয়ো।
মধুমিতার ঝকঝকে চেহারা, সৌন্দর্য, তাঁর অভিনয়ের ভঙ্গি দেখে জাফর প্রথমে ভেবেছিলেন, তিনি বলিউড নায়িকা! পাকিস্তানি ব্লগারের ভুল ভাঙে মধুমিতার মুখে বাংলা কথা শুনে। যদিও তাতে তিনি একটুও হতাশ হননি। বরং প্রত্যেকটি ভিডিয়ো খুঁটিয়ে দেখেছেন। প্রশংসাও করেছেন। বলেছেন, চোখের ইশারা, হাসি, কথা বলার ভঙ্গিতে অভিনেত্রী অনন্য। নিজের ইউটিউবে তিনি একটাই কথা জানতে চেয়েছেন, এত সুন্দরী নায়িকা কোন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন? জাফরের ব্লগ দেখে খুশি মধুমিতাও। জানিয়েছেন, ‘‘অতিমারি সুস্থ, স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করে দিয়েছে। ক্রমাগত কটাক্ষ, বিদ্বেষে জেরবার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। পাকিস্তানি ব্লগারের এই ভিডিয়ো তার মধ্যেও যেন আশার আলো দেখাল। নিজের দেশের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশের নেটাগরিকেরাও আমায় দেখছেন। ভালবাসছেন, প্রশংসা করছেন। এটাই বা কম কী?’’অতিমারিতে প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখতে যাওয়া স্বভাবিকত্ব হারিয়েছে। অনলাইনে ঘরে বসে ওয়েব সিরিজ,সিনেমা ইত্যাদি ই এখন মনরঞ্জনের মাধ্যম। অভিনেতা অভিনেত্রীরাও এখন মজেছেন অনলাইনে অথবা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বাইরেও।
অতিমারী পরিস্থিতি মেনে নিয়েও নিজের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন অভিনেতা অভিনেত্রী তথা সমগ্র শিল্পীজগৎ। প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের সাথে ভারতের সম্পর্ক খুব একটা সহজ না।কিন্তু শিল্পের মাধ্যমে এক দেশ আরেক দেশের শিল্পীর প্রশংসা করতে পিছপা হচ্ছেন না। এই আন্তর্জাতিক সম্প্রীতিই তো সকলের কাম্য। আর এই সম্প্রীতি বজায় রাখার অন্যতম কান্ডারি যে শিল্প ও শিল্পী তা আবার প্রমাণ করে দিলেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। ভালো থাকুক শিল্পীরা, বেঁচে থাকুক শিল্প, বজায় থাক আন্তর্জাতিক সম্প্রীতি।