“ডিপ্রেশনের বাংলা জানি মনখারাপ….”-তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ পছন্দের একটি কবিতার লাইন। যারা কবিতার জগতের সাথে সরাসরি যুক্ত তারা ছাড়াও অনেকেই এই পরিচিত লাইনটিকে মাঝে মাঝেই ব্যবহার করে থাকেন ফেসবুক অথবা হোয়াটসয়্যাপের স্টোরি তে।
কবিতার জগতের সাথে যাদের নিয়মিত যোগাযোগ তাদের কাছে অতি পরিচিত নাম শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক কাব্যগ্রন্থ উপহার দিয়ে পাঠকের মনে বেশ মজবুত জায়গা করেছেন কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়। কবিতার পাশাপাশি গানের জগতেও তাঁর বিশেষ জনপ্রিয়তা রয়েছে। গীতিকার হিসেবেও বেশ সফলতা লাভ করেছেন তিনি। এবার একেবারে অন্যভাবে ধরা দিচ্ছেন তাঁর অনুরাগীদের কাছে।তবে এবার পাঠক নয়,তাঁর নতুন ভূমিকায় সমৃদ্ধ হবেন দর্শক ও শ্রোতারাও। জীবনের প্রথম সিনেমা তৈরীর তোড়জোড় করছেন কবি। তাঁর জীবনের প্রথম সিনেমা ‘মানবজমিন’ এ পরিচালকের ভূমিকায় তাঁর সৃজনশীলতা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কবির অনুরাগীরা। তাদের জন্য এবার আরও সুখবর। পরিচালনার পাশাপাশি এই ছবিতে গান ও রচনা করেছেন গীতিকার শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়।
আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরিচালক জানান আপাতত ছবিতে চারটি গান রাখার কথা ভেবেছেন তিনি। তার মধ্যে দু’টি গান গাইতে চলেছেন অরিজিৎ সিংহ এবং শ্রেয়া ঘোষাল।তাঁর ছবিতে গান গাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অরিজিৎ সিং এবং শ্রেয়া ঘোষাল-র খুশির কথাও তিনি জানিয়েছেন।তিনি বলেন গীতিকার হিসেবে কোন কথা কার গলায় বেশি খেলে সেকথা মাথায় রেখে গান লিখলে সেই গান আরও সুন্দর হয় তাই শ্রেয়া ও অরিজিতের গলায় কি কি শব্দ বেশি খেলবে সে বিষয় মাথায় রেখেই তিনি গান লিখেছেন।এই প্রথম নয়, অতীতেও একাধিক বার শ্রেয়া এবং অরিজিতের সঙ্গে কাজ করেছেন শ্রীজাত। তৈরি হয়েছে ‘তোমাকে ছুঁয়ে দিলাম’, ‘চল রাস্তায় সাজি ট্রামলাইন’, ‘জানি দেখা হবে’-র মতো জনপ্রিয় সব গান। তবে এবারে কলকাতায় এসে গান রেকর্ড করবেন না এই দুই গায়ক গায়িকা।বর্তমানে শ্রেয়া আছেন মুম্বইতে এবং অরিজিৎ জিয়াগঞ্জে। সেখান থেকেই গান রেকর্ড করে পাঠাবেন তাঁরা। অতিমারি আবহে দূরত্ব বজায় রেখেও সুরে এবং কথায় আবার এক হবেন শ্রীজাত, শ্রেয়া এবং অরিজিৎ।
Covid 19 অনেক মানুষের থেকে অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে, কিন্তু কিছু জিনিস একান্ত আত্মিক,তাকে কোনোভাবেই নিজের থেকে আলাদা করা যায়না। শিল্পও তেমনই একটা জিনিস।যতদিন শিল্পী বাঁচেন তাঁর মধ্যে বেঁচে থাকে শিল্প।এই অতিমারিতে সদ্য মা হয়েছেন গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল, তা সত্ত্বেও তিনি তাঁর শিল্পের টান এড়িয়ে চলতে না পেরে এভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন। শ্রেয়া-অরিজিতের যুগলবন্দী নিঃসন্দেহে কোনো master piece হতে চলেছে এই আশা নিয়ে অপেক্ষা করছেন শ্রোতারা।