ভূত সিনেমা প্রেমীদের কাছে Conjuring একটা কমন শব্দ। হলিউডের Annabell, The Nun, এই সব ছবিগুলোই একে ওপরের সাথে রিলেটেড এবং Conjuring এর মধ্যে অন্যতম।
এই সব মুভিগুলোকে একসাথে যুক্ত করে এক প্যারানরমার ইনভেসটিকেটর দম্পতি এড ও লরেন ওয়ার্ড, যারা আসলেই পৃথিবীতে বর্তমান এবং মুভির বেশিরভাগই সত্যি ঘটনা।
Conjuring মুভি রিলেটেড প্রত্যেকটি ছবি মানুষের মন কেড়ে নিয়েছে প্রত্যেক বার। তাই এই বারের মাস্টারপিস এর অপেক্ষায় ছিলো অনেকেই। তার ওপর সিনেমা ডিরেক্টর জানিয়েছেন, এই মুভিটা বাকিদের থেকে অনেক আলাদা এবং এই ও লরেন এর জীবনে এটা সবথেকে কঠিন কেস ছিলো। আর পুরোটাই তারা পর্দায় দেখাবে।
এই খবর শোনার পর আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। এবং ২০২১ সালের ছবিটি অবশেষে মুক্তি পায়। তাই চলুন এক নজরে পড়ে নেওয়া যাক, Conjuring 3 গল্পের রিভিউ।
Conjuring 3 মুভি রিভিউ
Conjuring 3, The devil made me to do it সিনেমায় এবারের গল্প শুরু হচ্ছে এক বাইরে থেকে সম্পূর্ণ অন্ধকার এলাকায় ঢাকা এক বাড়ির ভেতর একটি আশ্চর্য ঘটনা দিয়ে।
বাড়িতে একটি ছোটো বাচ্চা ছেলে ডেভিড যে বেশ কিছুদিন ধরে কিছু আজব আচরণ করছে। এর কারণ আর কিছুই নয় ডেভিডের ভেতর শয়তান কাবু করে আছে অর্থাৎ সোজা ভাষায় যাকে বলে Possessions.
আর আমরা সবাই জানি যখন কোনো ব্যক্তি শয়তান দ্বারা possessed হয়ে যায় তখন তাকে সেখান থেকে মুক্ত করার উপায় হলো Exorcism.
যেখানে ভূত থাকবে সেখানে এড ও লরেন্স থাকবে না, এটা হতেই পারে না। ডেভিড, একটা ছোটো নিষ্পাপ বাচ্চা শয়তানের দ্বারা পজেজড্, তার পরিবারে তার বাবা, মা, তার দিদি ও দিদির প্রেমিক আর্নে সেখানে উপস্থিত ছিলো।
আর্নে’র নাম উল্লেখ করার কারণ কিছুক্ষণ পরেই জানা যাবে।
ডেভিডের দেহ থেকে শয়তানের তাড়া জন্য চার্চ এর পুরোহিত কে ডাকি হয়েছে। তবে পুরোহিত আসার আগেই ডেভিড এমনই আচরণ করে যে তার গোটা শরীর খুব বাজে ভাবে এদিক ওদিক বেঁকে যেতে থাকে।
ডেভিড বাথরুমে গিয়ে দরজায় এক ডেভিলের হাত দেখে, বেরিয়ে আসে এবং তারপরেই এইসব হয়।
পুরোহিত চলে আসে এবং exorcism শুরু করেন। এবং তখন ঘরে এত এত হাওয়া দেয় যে পুরোহিতের মাথায় এক প্লেট এসে সজোরে লাগে ও উনি পড়ে যান।
তখনই ডেভিডের দিদির প্রেমিক আর্নে, ডেভিডের ভেতরে থাকা শয়তানকে বলতে থাকে, যদি সাহস থাকে আমার শরীরে প্রবেশ করে দেখো; ছোটো বাচ্চাকে ছেড়ে দাও।
এই ঘটনা এড নিজের চোখে দেখে এবং আর্নে-কে বারণ করে যেনো সে শয়তানের সাথে কথা না বলে, তাতে বিপদ বাড়বে।
এরপর লরেন exorcism করার সময় নিজের চোখ বন্ধ করে এমন কিছুই দেখতে পায় যেনো তাকে কেউ তার কাজ করতে বাধা দিচ্ছে এবং এই সব কিছুর পেছনে অনেক বড়ো কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে।
ব্যাস তারপর মুহূর্তেই সব শান্ত হয়ে যায় এবং এড এর হঠাৎ খুব শরীর খারাপ হয়ে যায়। ডেভিডের দেহ থেকে শয়তানের চলে যায়।
সবাই যখন এড কে হাসপাতালে নিয়ে যায়, ডাক্তার বলেন, এড এর হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল এবং সঠিক সময় না আনলে হয়তো সে মারা যেত।
Conjuring 3 ফ্যাক্ট
তবে গল্পের আসল শুরু হয় যখন, কিছুদিন পর যখন এড এর জ্ঞান ফেরে এবং লরেন’কে সে জানায়, ডেভিডের দেহ থেকে শয়তানের আসলে চলে যায়নি, সে আছে আর্নে’র শরীরে।
এই কথা শোনার পর লরেন তাদের বাড়িতে ফোন করে, কিন্তু জোরে জোরে গান বাজার দরুন ফোন শুনতে পায় না। বাধ্য হয়ে লরেন পুলিশকে ফোন করে ও বলে আর্নের পরিবারকে বাঁচাতে।
কিন্ত আর্নের শরীরে ধীরে ধীরে এতটাই শয়তানের বাসা বেঁধে ফেলেছে যে সে তার বাড়িতে থাকা মালিক ও ও তার বস কে খুন করে ফেলে।
পুলিশ আর্টিকেল অ্যারেস্ট করে কিন্ত এড আর লরেন তাকে বাঁচাতে উকিলের কাছে যায়। উকিল তাদের জানায় কোর্ট কখনও ভূত-প্রেত এ বিশ্বাস করবে না।
এরপর যখন এড ও লরেন আর্নে’কে জেলে দেখতে যায়, সে খুব সহজ ব্যবহার করছিলো এমনকি বাইবেলও পড়ে নেয় সুন্দর করে।
এরপর গল্প ঘোরে অন্য দিকে। এড ও লরেন এই সবকিছুর তদন্ত করা শুরু করে। এবং ডেভিডের বাড়ির লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তারা জানতে পারে, এই বাড়িতে আসার আগে এখানে একটা বিছানা ছিল আর ডেভিড সেখানে শু’তে অন্য একজনের মুখ দেখতে পায় এবং নীচে থেকে অনেক জল ও দুটো হাত বেরিয়ে আসে।
এই ঘটনা শোনার পর যখন এড ও লরেন ওই বাড়ির নীচে বেসমেন্টে জলের পাইপ চেক করতে যায়, তখন লরেন দেখে সেখানে একটা ডেভিল টরটাম রাখা আছে।
এড ও লরেন বুঝতে পারে, এই টরটাম-এর পিছনে লুকিয়ে আছে সব প্রশ্নের উত্তর ও অনেক বড়ো কোনো রহস্য।
চার্চের ফাদারের কাছে যখন ওরা এই টরটাম নিয়ে যায়, তখন সে বলে আসলে শয়তানের এখানে নিজে থেকে আসেনি। এই টরটাম এর সাহায্যে কেউ শয়তানদের জীবন দিয়ে এইসব করাচ্ছে।
এখন কে সেই অজ্ঞাত যে ডেভিলের আশীর্বাদ পেয়ে আছে? এবং এড ও লরেন কি পারবে আর্নে’কে বাঁচাতে?
জানতে হলে এখনই দেখুন Conjuring 3 The devil made me to do it.