স্কুল, কলেজের পরবর্তীতে চাকরি জগতে প্রবেশ মানুষকে সাবলম্বী করে তোলে। দেশজুড়ে বেকারত্বের ভিড়ে কয়েকটি উপায় অবলম্বন করলেই চাকরি পাওয়া সম্ভবপর হয়ে ওঠে। আজ আলোচনা করা যাক এমন পাঁচ সহজ উপায় নিয়ে, যা মেনে চললে সহজেই চাকরি পাওয়া যায়।
* চাকরির ওয়েবসাইট – ইন্টারনেটের যুগে আজ সবকিছু আমাদের হাতের মুঠোয়। Naukri.com, LinkedIn, indeed এ অ্যাকাউন্ট খুলে নিজের বায়োডাটা দিয়ে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাওয়া সম্ভব। উপরিউক্ত ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে বহু মানুষ চাকরি পেয়েছে।এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখান থেকে চাকরি পাওয়া সম্ভব।
* স্পোকেন ইংলিশ – চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো স্পোকেন ইংলিশ। ইংরেজি তে ভাল ভাবে কথা বলতে পারলে বেশ কিছু চাকরি পাওয়া সম্ভব। বিভিন্ন IT কম্পানি থেকে শুরু করে কল সেন্টারগুলোতে ইংরেজি বলার উপর জোর দেওয়া হয়। সেই কারণেই ইংরেজি ভাষা জ্ঞান বৃদ্ধির সাথে সাথে বিষয়ভিত্তিক ভাবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারলে চাকরির সুযোগ বেশ কিছুটা বেড়ে যায়।
* কনফিডেন্স – চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আত্মবিশ্বাস। নিজের প্রতি ভরসা রেখে প্রতিনিয়ত নিজেকে অভিযোজিত করে আত্মবিশ্বাস রাখতে পারলে চাকরির বেশ কিছুটা সামনেই চলে যাওয়া যায়। ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়। বেশিরভাগ কম্পানিগুলোই কনফিডেন্ট ক্যান্ডিডেট চায়, তাই সেই কারণে আত্মবিশ্বাস ভাল ভাবে রাখতে হয়।
* উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান – বাড়িতে বসে চাকরি পাওয়ার প্রস্তুতির সাথে সাথে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে প্রস্তুতি নিলে তার ফল যথেষ্ঠ ভালো হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে থাকে বিশেষজ্ঞরা।তাদের কাছে প্রস্তুতি নিলে তা নির্দিধায় পরবর্তীতে চাকরি পেতে যথেষ্ঠ সহায়তা করে। উপযুক্ত সময়ে পরীক্ষণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের আওতায় নিজেকে উন্নত করলে তা চাকরি পূর্ব পরিস্হিতির প্রস্তুতিতে সাহায্য করে।
* ইন্টারভিউ – চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। নিজেকে সঠিক ভাবে প্রস্তুত করে বেশ কিছু ইন্টারভিউ দিলে প্রশ্ন সম্বন্ধে ধারণা লাভ করা সম্ভব। যত বেশি ইন্টারভিউ দেওয়া যাবে ততই কথা বলার ক্ষমতা এবং পার্সোনালিটি বাড়তে থাকবে। সেই কারণেই ইন্টারভিউ চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় উপায়।
উপরিউক্ত এই পাঁচ উপায় ছাড়াও আরও বেশ কিছু উপায় রয়েছে।চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নিজেকে আপ-টু-ডেট রাখা। সঠিক বায়োডাটা তৈরি করে ভবিষ্যত ভেবে কোনও নির্দিষ্ট চাকরিকে লক্ষ্য করলে সেক্ষেত্রে বেশ কিছুটা সুবিধা হয়। নিজেকে ঠিক ভাবে গড়ে তুলে কিছু উপায় মেনে চললেই চাকরি পাওয়া সম্ভব, আপনারা কি মনে করেন?