মাত্র আড়াই বছর বয়সে দূরদর্শনের সাথে পথ চলা থেকে ১৫ বছর বয়সে বিখ্যাত বাংলা টেলিভিশনের ধারাবাহিকের দ্বারা নিজেকে ১ নম্বর জনপ্রিয়তায় তালিকায় ধরে রাখা খুব একটা সহজসাধ্য ব্যপার একদমই না, কিন্তু নিজের প্রতিভার দাপটে আজ প্রতিটির বাঙ্গালীর ঘরে ও মনের মনিকোঠরে রাসমনিরূপে জায়গা করে নিতে সক্ষম দিতিপ্রিয়া রয়।
বাবা অলোকশঙ্কর রায়ের হাত ধরে অভিনয় জগতে পা। তার পর লাইমলাইট থেকে কেউ তাকে সরিয়ে ফেলতে পারে নি। এক এক সিড়ি পেড়িয়ে আজ সে উচ্চতার শিখরে। তাবড় তাবড় অভিনেত্রীকে পিছনে ফেলে একাই সে এগিয়ে চলেছে, মাথায় উঠেছে একের পর এক সেরা শিরোপার মুকুট।
পরিবারের কঠিন সময়ে ঢাল হয়ে দাড়িয়েছে সে। বাবার ক্যন্সার চিকিৎসার জন্য টাকার যোগান থেকে সংসারের হাল তাকেই ধরতে হয়েছে যা এতো ছোট বয়স থেকে কারোর পক্ষেই হয়তো সহজ নয়।
আড়াই বছর বয়সে দূরদর্শনে একটি ডকুমেন্টরির মাধ্যমে অভিনয় জগতে তার পথ চলা শুরু। তারপর থেকে ধীরে ধীরে একের পর এক শিশুভূমিকায় সকলের মন জয় করে দিতিপ্রিয়া।
স্টার জলসায় দুর্গা সিরিয়ালের দ্বারাই তার প্রথম টেলিভিশনের পর্দায় পদার্পন। ছোট্ট দুর্গার বেশে তার অসাধারণ অভিনয় সকল দর্শকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার পর্যায় । ২০১১ সালে সেই একই চ্যানেলে আপরাজিত সিরিয়ালে তিতলির চরিত্রেও সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে দিতিপ্রিয়া।
এরপর কালার্স বাংলায় বিখ্যাত ধারাবাহিক ব্যোমকেশে চিংড়ির চরিত্রেও অভিনয় করেছে।
দিতিপ্রিয়া শুধু টেলিভিশনের পর্দায় থেমে থাকে নি। ২০০৭ সালে রবি কিনাগী পরিচালিত ও শ্রী ভেঙ্কেটেশ ফিল্মস প্রযোজিত বাংলা সিনেমা ‘দেব আই লাভ ইউ’ তে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
এরপর তার জীবনে আসে সেই স্বর্ণযোগ যার পর থেকে আজ অবধি পিছনে ফিরে দেখতে হয়নি তাকে। আজও তার খ্যাতিতে কোনরকম মরচে ধরেনি। ২০১৭ সালে জি-বাংলায় করুণাময়ী রানী রাসমনি ধারাবাহিকে ‘ রাসমনির চরিত্রে আজও সে এক ও অদ্বিতীয়’।
রানী রাসমনিতে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর থেকে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে মহালয়ার উপলক্ষিত ধারাবাহিকে বিভিন্ন দেবীররূপে দেখা গেছে তাকে ।
আসন্ন বাংলা চলচ্চিত্র অভিযাত্রিকেও অভিনয়ের দক্ষতা দেখাতে চলেছে দিতিপ্রিয়া।
দিতিপ্রিয়া শুধুমাত্র বাংলা টেলিভিশনেই নিজের পা জমিয়ে রাখেনি, ডানা বিস্তার করেছে টলিউড থেকে বলিউডে। বলিউড হাতছানি দিয়েছে তাকে । বলিউডের ‘বব বিশ্বাস’ সিনেমার দ্বারা প্রথম ডেবিউ করতে চলেছে সকলের প্রিয় রাসমনি।