10 টি নামী ফোর হুইলা্র যা বেশ সস্তায় পেতে পারেন।জানবেন কি করে ? তাহলে আসুন জেনে নিন । জীবনে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাব নেই। যা আমাদের কঠিন কাজকে সহজ করে দিতে পারে সেই জিনিসটাই আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসের তালিকায় চলে আসে। তবে অর্থের বিষয়টা ও মাথায় রাখতে হবে। প্রয়োজনে অনেক ভালো কিছু যেমন আমাদের প্রয়োজন হয়,তেমনি আবার পরিস্থিতি বিবেচনায় একটু দাম কমের জিনিস ও নিতে হয়। সবসময় তো আর দামী জিনিস নেওয়া সম্ভব হয় না কারণ সবাই সমান নয়, আর্থসামাজিক পরিস্থিথির জন্যই ভিন্নতা! যেমন ধরুন গাড়ির কথাই! চার চাকা গাড়ির প্রতি লোভ কমবেশি সবারই থাকে। কিন্তু সবাই কি গাড়ি কিনতে পারে নাকি সবার দামী গাড়ি কেনার সামর্থ্য আছে?ফলে, বাজেট টা একটু কম হলে মধ্যবিত্তরা গাড়ি কেনার কথা ভাবতে পারে। তাহলে চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক সস্তায় বেশ ভালো গাড়িগুলো ঠিক কোনগুলো ।
ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণির কথা মাথায় রেখে সবচেয়ে ভালো এন্ট্রি সেগমেন্ট গাড়িগুলোর নাম রইলো নিচের সারিতে। এই গাড়িগুলোর দাম মোটামুটি ৪ লাখ টাকা থেকে ৫.৫ লাখ টাকার মধ্যে।
১)হুন্ডাই সান্ট্রো এএমটি :
এই গাড়িটি গিয়ার বক্স সহ সবথেকে মোটামুটি তিনটে ভারিয়েন্ট এ ভারতের বাজারে পাওয়া যায়।ভালো ক্যালিব্রেটেড এএমটি সিস্টেম রয়েছে এই গাড়িতে। এই গাড়ির অন্দরসজ্জা, স্টাইলিং নিয়ে নতুন করে আর কিছুই বলার নেই। এর সবচেয়ে সেরা বিষয় হল , এই গাড়ি টি তে এম এম টি গিয়ার আছে। এই গাড়িটি ২০.৩ কম পর্যন্ত মাইলেজ দিতে পারে।
২)মারুতি এস প্রেসো-
১ লিটারের স্মার্ট ইঞ্জিন, সহজ ইংগ্রেস সঙ্গে ক্যালিব্রেটেড এএমটি এবং একই সঙ্গে উন্নত ম্যান্যুয়াল ট্রান্সমিশন আছে এই গাড়িতে। এই গাড়িতে বসার যতখানি জায়গা আছে তা দেখলে সত্যি অবাক হতে হয়। টার্নিং রেডিয়াস কম থাকার জন্য এস প্রেসো এই বাজেট সেগমেন্ট গাড়ির তালিকায় সবচেয়ে জনপ্রিয়।₹৩.৬৯ লাখ দিয়ে শুরু এস-প্রেসোর দাম (এক্স শোরুম- গোটা দেশে)। এস-প্রেসো মোট ৬টি রঙে পাওয়া যাবে। যার মধ্যে রয়েছে, সুপিরিওর হোয়াইট, সলিড ফায়ার রেড, মেটালিক গ্রেন্টি গ্রে, মেটালিক সিল্কি সিলভার, সলিড সিজলি অরেঞ্জ এবং পার্ল স্ট্যারি ব্লু। Std, LXi, VXi, VXi AGS, VXi+ ও VXi+ AGS- এই ৬টি মডেল রয়েছে নতুন এই গাড়িটির।
৩)মারুতি ওয়াগনার :
এই জনপ্রিয় গাড়িটির আর ভার্সানটি এন্ট্রি সেগমেন্টের অন্তর্ভুক্ত, কেবিনে যথেষ্ট জায়গা, সহজ ইনগ্রেস ও ইগ্রেস রয়েছে পরিবারের বরিষ্ঠ সদস্যদের জন্য, শহরের রাস্তায় এই গাড়ি চালানোয় স্বস্তি আছে, ভিএক্স আই এবং জেডএক্সআই দুই মডেলেই পাওয়ার পারফরম্যান্স ফিচার আছে। এএমটি সিস্টেম যুক্ত হওয়ার পর ড্রাইভ করা অনেকখানি সহজ এখন, মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য খুবই নির্ভরযোগ্য গাড়ি।মারুতি সুজুকি ওয়াগনর-এ থাকবে ১.০ লিটার কে১০বি এবং ১.২ লিটার কে১২এম পেট্রল ইঞ্জিনের বিকল্প থাকবে এবং এস-সিএনজি ধরণটি কেবলমাত্র প্রথম ভার্সানটির সঙ্গেই থাকবে। ১.০ লিটার কে১০বি মোটরের পেট্রোল ভার্সানটি উৎপন্ন করে ৬৮এইচপি এবং ৯০ এনএম। এই গাড়ির সিনজি বিকল্পটি থেকে পাওয়া যায় ৫৯এইচপি এবং ৭৮ এনএম। এস-সিএনজি মডেলে ৫ স্পিড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন পাওয়া যাবে। ওয়াগনরের এই নতুন বিএস৬ সিএনজি মডেলটিতে দুটি পারস্পরিক নির্ভততা সম্পন্ন ইলেকট্রিক কন্ট্রোল ইউনিট এবং ইন্টেলিজেন্ট ইঞ্জেকশন সিস্টেম থাকবে। এই গাড়ির ট্যাঙ্কে ৬০ লিটার তরল ধারণ করার ক্ষমতা আছে। নতুন ওয়াগনরের মাইলেজ হল ৩২.৫২ কিমি/কেজি।
৪)মারুতি সিলারিও সিএনজি-
রানিং কস্ট বেশ কম এই গাড়ির।30.47 কিমি / কেজি একটি প্রত্যয়িত মাইলেজ ফেরত দেয়।মারুতি সিলেরিও ভিএক্সআই সিএনজি কালার: এই রূপটি 7 টি রঙে পাওয়া যায়: আর্টিক হোয়াইট, সিল্কি সিলভার, গ্লাসিটিং গ্রে, টাঙ্গো কমলা, টর্ক ব্লু, ব্লাজিন রেড এবং ব্লাইজিং রেড।মারুটি সেলেরিও ভিএক্সআই সিএনজি ইঞ্জিন এবং ট্রান্সমিশন: এটি একটি 998 সিসি ইঞ্জিন দ্বারা চালিত যা ম্যানুয়াল সংক্রমণ সহ উপলভ্য। 998 সিসি ইঞ্জিনটি 58.33bhp@6000rpm পাওয়ার এবং 78Nm @ 3500rpm টর্ককে দেয়। দুর্দান্ত ফিচার, মারুতি সুজুকি সিএনজির বিশ্বাসযোগ্যতা এই গাড়িকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে গেছে।
এবার রইলো, ৬ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকা দামের মধ্যে এই গাড়িগুলো র নাম –
৫)টাটা অল্ট্রোজ-
আলট্রোজ এক্সই হল বেস মডেলের গাড়ি যার মধ্যে অসাধারণ মানসম্মত নির্মাণ, ফিচার, সাসপেনসন, নিয়ন্ত্রণ সমস্ত কিছু আছে । যা খুব বেশি দামি গাড়িগুলোতে থাকে তা ও এই মডেলটিতে আছে এবং মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের পছন্দের গাড়ি হয়ে উঠছে। এটি প্রিমিয়াম হাচব্যাক।
৬)হুন্ডাই গ্র্যান্ড আই ১০ নিওস-
উৎকৃষ্ট স্টাইলিং, সাস্পেন্সন, শহরের মধ্যে যাতায়াতে সাবলীলতা, দুর্দান্ত ফিচার এই গাড়িকে অনন্য করেছে। সঙ্গে আছে নান্দনিক অন্দরসজ্জা। পাওয়ার পিক আপ অতুলনীয় না হলেও শহরে চলাচলের নিরিখে খুব খারাপ নয়। এটি হল মিড হ্যাচ।
৭)মারুতি ব্যালেনো ডেল্টা –
অনেকখানি জায়গা আছে এই গাড়ির ভেতরে, মাইলেজ যথেষ্ট ভালো, তাই মধ্যবিত্তের কাছে এই গাড়ি অনেকখানি বিশ্বাসযোগ্য ও সাশ্রয়কারী। মারুতি ব্যালেনো হল প্রিমিয়াম মাপের গাড়ি। এর ডিজাইন ও বেশ ভালো।
৮)হুন্ডাই এলিট আই২০ পেট্রল (ম্যাগনা, স্পোর্টস)-
এই গাড়ির অন্দরসজ্জা একেবারে প্রিমিয়াম, ফিচার, স্টাইলিং-এ সেরা এই গাড়ির বিল্ড ব্যালেনোর থেকেও ভালো বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই গাড়িটি হল প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাক তালিকাভুক্ত।
৯)ফোর্ড ফিগো টাইটেনিয়াম ডিজেল-
এই মিড হ্যাচ ডিজেল গাড়িটিতে আছে রেসপনসিভ ডিজেল ইঞ্জিন, উৎকৃষ্ট ফিচার। রানিং খরচ কম কিন্তু সুরক্ষা ও হ্যান্ডলিং-এর ব্যাপারে এই ফোর্ড ফিগো টাইটেনিয়াম ডিজেল যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। পি আপ ক্ষমতা অসাধারণ।এই গাড়িটি মিড হ্যাচ ডিজেল পর্যায়ভুক্ত।
১০)টাটা টিয়াগো :
টিয়াগো হ’ল টাটা মোটরসের স্মার্ট এবং পছন্দসই একটা গাড়ি। এটি মানুষের কাছে আরও পছন্দসই হাওয়ার কারণ হ’ল এর প্রতিযোগিতামূলক মূল্য। এর দাম হলো ৪ -৬ লাখ।২০২০ সালে এই গাড়িতে আপডেটে রিফ্রেশ স্টাইলিং এবং একটি BS6- নির্দিষ্ট পেট্রোল ইঞ্জিন আনা হয় যা ম্যানুয়াল এবং এএমটি গিয়ারবক্স বিকল্পগুলির সাথে উপলব্ধ।
তাহলে জেনে নিলেন তো সস্তায় স্বাস্থ্যকর গাড়ির নাম গুলো, আর দেরি কিসের তবে? চটপট গিয়ে কিনে ফেলুন নিজের পছন্দসই চারচাকা গাড়ি।
আরও পড়ুন,https://www.banglakhabor.in/তৃণমূল-বিজেপি-নেতা/amp/