বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলায় উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস আডবাণী, যোশী সহ সকল অভিযুক্ত। ২৮ বছরের দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে ঘোষনা হলো বাবরি মসজিদের রায়। প্রথম শ্রেণীর প্রবীণ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মসজিদ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র , করসেবকদের উস্কানিমূলক প্ররোচনা প্রদান জাতীয় বিবিধ অভিযোগকে নস্যাৎ করে দেয় আজকের এই রায়। লখনউ-এর বিশেষ সিবিআই আদালতের প্রধান বিচারপতির মতে ১৯৯২ সালের সালের ৬ই ডিসেম্বরের ঘটনাটি প্রকৃতপক্ষে স্বতঃস্ফূর্ত উন্মত্ত জনবিক্ষোভের ফলাফল। এই ঘটনার সাথে অভিযুক্তদের কোন প্রত্যক্ষ মদত ছিল না , উপরন্তু অশোক সিঙ্ঘল সহ সংঘ পরিবারের অনেকেই চেষ্টা করেছিলেন এই ধ্বংসলীলা আটকানোর কারণ রামলালর মূর্তি তখনও সেই স্থানেই বিরাজমান ছিল।
বাবরি ধ্বংস সম্পর্কিত যেসব ছবি এবং ভিডিও ফুটেজ কোর্ট এর কাছে জমা পড়েছে সেগুলি আদপে অভিযুক্তদের ফাঁসানোর জন্য বিকৃত নমুনা_এই দাবি মেনে নিয়েছেন সিবিআই আদালতের বিচারক সুরেন্দ্র কুমার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০০১ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট আডবাণী ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মসজিদ ভাঙার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কিন্তু ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশকে ত্রুটিপূর্ণ আখ্যা দেয়। তারপরেও আজকের এই রায় ঘোষণায় হতাশ কংগ্রেসসহ বিরোধী শিবির। বর্ষীয়ান বিজেপি নেতাদের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ক্লিনচিট পাওয়ায় খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরে। এই প্রসঙ্গে মুরলী মনোহর যোশীর অভিমত এটি আদালতের একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। সূত্রের খবর অপ্রত্যাশিত এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে যাবে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। আপাতভাবে আজকের শুনানির পর এই মামলার টানাপোড়েন স্থগিত হলেও কিভাবে সর্বসমক্ষে রাম রথযাত্রা ও কর সেবার আহ্বান জানিয়েও বর্ষীয়ান নেতৃবর্গ সকল দায়ভার অস্বীকার করে বেকসুর তকমা পেতে পারে, এই প্রশ্ন ভারতের রাজনীতিকে আলোড়িত করবে আরও বেশ কিছু বছর।