মানুষের ভাগ্যচক্র জড়িত থাকে রাশির সঙ্গে,ঠিক তেমন ভাবেই মানুষের চরিত্রগত দিক জড়িয়ে থাকে গনের সঙ্গে। দেখে নেওয়া যাক ,গন কিভাবে বিচার করতে হয় এবং মানুষ কেমন ধরনের হয় এই গন অনুযায়ী।

আপনার গন নির্ণয় করবেন কিভাবে – জেনে নিন

main qimg df655a26726950d7e757d6a9225ddf0c
Quora



•দেব গনকোষ্ঠীর নক্ষত্র অনুযায়ী সবসময় গনের বিচার হয়ে থাকে।অশ্বিনী, রেবতী, হস্ত, পুষ্প, পুনর্বাসু, অনুরাধা,শ্রাবণ , স্বাতী নক্ষত্র যাঁদের রয়েছে তাঁদের দেবগন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।দেব গনের ব্যাক্তিরা খুবই বুদ্ধিদীপ্ত হন,সুন্দর চেহারার হয়ে থাকেন।তাছাড়াও,এঁদের কাছে আত্ম সম্মান আর শিক্ষা খুবই গুরুত্ব পায় এবং সুন্দর মনের মানুষ হয়ে থাকেন।

•নর গন – এই গনের ব্যাক্তিরা খারাপ হলে রাক্ষস গনের মানুষের থেকে ভযঙ্কর হন,আর ভালো হলে এদের মত দেবতার তুল্য মানুষ দেখা যায় না।পূর্ব ফাল্গুনি, পূর্বা অশধা, পূর্ব ভাদ্রপাদ, উত্তর অশধা, উত্তর ভাদ্রপাদ,আদ্রা, রোহিনী, ভারিনী নক্ষত্র যাঁদের কোষ্ঠীতে থাকে,তাঁরা নরগনের অধিকারী হন।

•রাক্ষস গন– এই গনের মানুষেরা সময়ে অসময়ে রেগে যান।রাক্ষস গন নির্ধারন করতে , কোষ্ঠীতে কোন নক্ষত্র রয়েছে দেখতে হবে।কৃতিকা, মাঘা, অশ্লেষা, শতভীষা, চিত্রা, জ্যেষ্ঠা, ধনিষ্ঠা, মূলা, নক্ষত্র যাঁদের কোষ্ঠীতে রয়েছে তাঁরা রাক্ষস গনের মধ্যে পড়েন। শোনা যায়,বিয়ের সময়, রাক্ষস গনের সাথে বিয়ে দেওয়া যাবে না। তাহলে ছেলে বা মেয়ের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। রাক্ষস গণ মানেই সরাসরি রাক্ষসের সাথে তুলনা করেই ফেলে।রাক্ষস গনের মানুষরা ফাইটার হয়, সমাজ ও প্রতিষ্ঠান এর সাথে লড়াই করতে দ্বিধাবোধ করে না।

গন
Akash Bairagi


এটা বলা হয় যে একই গণের মধ্যে বিবাহ হল যথার্থ, অন্যথায় চরিত্রগত পার্থক্যের কারণে ভুল বোঝাবুঝির উদয় হয়। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে চরিত্র বা ব্যবহার শুধুমাত্র গণের ওপর নির্ভর করে না।

যদি আমরা কোনো ব্যক্তির চরিত্র বা ব্যবহার শুধু মাত্র নক্ষত্রের দিক থেকে বিচার করি তাহলে আমরা ভুল হতে পারি। উপরন্তু গণ মিলনের শুধুমাত্র ৬পয়েন্ট আছে ৩৬ এর মধ্যে, সুতরাং গণ সম্বন্ধে আমাদের খুব একটা উদ্বিগ্ন হওয়া অনুচিত। এমনকি সমস্ত অষ্টকূট গুণমিলনের উপরেও আমাদের অত্যধিক নির্ভর করা উচিৎ নয়। বরং সামঞ্জস্য দেখার জন্য আমাদের উভয় তালিকাকেই পৃথকভাবে পরীক্ষা করা উচিত।

যদি আপনার লেখাটা পছন্দ হয়, শেয়ার করতে ভুলবেন না।