বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব দরজায় আসন্ন কিন্তু এবার পুজোর আনন্দের উৎসবের রংটা কোথাও যেন ভীষণ ফিকে|উৎসবের প্রাক্কালে বাঙালির চিরাচরিত মেজাজটা এবারে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না|তার কারণ এই বছর বিশ্বব্যাপী করোনা নামক অতিমারির আক্রমণে ভারত বর্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গ দিশেহারা|দীর্ঘদিন লকডাউনের কারণে অর্থনীতি পৌঁছেছে তলানীতে|চাকরি থেকে ব্যবসা সর্বত্রই অর্থনৈতিক মন্দা|এবার মৃৎশিল্পীদের বাজার ও যথেষ্ট খারাপ|দুর্গাপুজোর ঠিক তিন সপ্তাহ বাকি, এইসময় মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে|কিন্তু এবছর ছবি টা পুরোপুরি ভিন্ন|নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণি থেকে কলকাতার কুমোরটুলি পর্যন্ত এবছর ঠাকুরের বায়না মৃৎশিল্পীদের কাছে বেশ কম|আর্থিক মন্দার জন্য পুজো কমিটির বাজেট অনেক কম|করনা আবহে নিউ নরমাল মেনে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী পুজোয় প্রতিমার আকৃতি হতে হবে ছোট|ঘূর্ণির মৃৎশিল্পী শংকর পালের কথা অনুযায়ী তিনি গত বছর সাতাশটি প্রতিমা নির্মাণ করেন কিন্তু এবছর বরাত পেয়েছেন মোট চারটি প্রতিমার|প্রতিমার আকৃতি ও অনেক ছোট করতে হবে যা কিছু ক্ষেত্রে 3 ফুট বা চার ফুটের মতো|পরিস্থিতি যাই হোক বা প্রতিমার উচ্চতা যাই হোক সবশেষে এটাই আশার কথা যে মা আসছেন|আপামর বাঙালির আশা এবার মায়ের ত্রিশূলে যেন করোনাসুর বধ হয়|
ঋদ্ধি দাশ