বাড়িতে বসে বোর হচ্ছেন, মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করছে? কিন্তু করোনার ভয়ে মিষ্টির দোকানের মিষ্টি খেতে বুক ধড়ফড়ানি? তাহলে কি মিষ্টি খেতে পারবেন না?
ভোজন রসিক বাঙ্গালীর ভাতের শেষ পাত মিষ্টি ছাড়া এক কথায় অসম্পূর্ন। মিষ্টি কথাটি শুনলেই জিভের ডগায় প্রায় জল আশার জোগাড় ৮ থেকে ৮০ যে কোন বয়সী মানুষের। মিষ্টিই এমনই জিনিষ যা সকল সম্পর্কের মধ্যে মিষ্টতা, মধুরতা নিয়ে আসতে পারে। । কিন্তু অনেকেই চান বাইরের দোকানের মিষ্টির থেকে ঘরে বানানো মিষ্টি খেতে। আর বর্তমান যা পরিস্থিতি গোঁদের উপর বিষ ফোড়ার ন্যায়, করোনা তো বাইরে আপনি তো বাড়ির ভেতর থেকে তার সাথে প্রতি পদক্ষেপে লড়াই করছে। তাই বাড়ি বসেই যদি পাওয়া যায় মিষ্টি তালে কেমন হয়? এছাড়া এখনই তো সময় আপনার হাতের যাদু দেখানোর। নিজের হাতে মিষ্টি বানিয়ে সকলকে একপ্রকার তাক লাগিয়ে দিন।
চলুন তালে যাওয়া যাক বাড়ির ময়রার দোকানে ।
রসোমালাই তৈরি পদ্ধতি জানেন ?
জানেন না তো তাই কিভাবে চটজলদি তৈরি করবেন রসোমালাই অর্থাৎ রসোমালাই তৈরির রেসিপি এক নজরে দেখে নিন।
রসমালাই তৈরির উপকরণঃ
১ কাপ গুঁড়ো দুধ, ১কাপ কন্ডেন্সড মিঙ্ক, ১লিটার ক্রিমযুক্ত দুধ, ১ কাপ গুঁড়ো দুধ, ১কাপ কন্ডেন্সড মিঙ্ক , ১ চা চামচ ময়দা, ১টি পাতিলেবু, ৭ কাপ জল, স্বাদমতো চিনি, ১চা চামচ গোলাপ জল ( সুন্দর গন্ধের জন্য), ১ টি এলাচ গুড়ো গোলাপের পাপড়ি বা কেশর, পেস্তা কুচি, আমন্ড বাদাম কুচি ( সাজানোর জন্য)
রসোমালাই তৈরির প্রনালীঃ
ছানা তৈরির প্রক্রিয়া –
১) একটি বড় পাত্র গ্যাসের উপর রেখে তাঁর দিন
১ লিটার দুধ ,
১কাপ জল দিয়ে ,
তারপর দুধ ফুটতে থাকলে পাতিলেবুর রস দিয়ে মিশ্রনটিকে নাড়াতে থাকুন।
২) ধীরে ধীরে ছানা কেটে গেলে মিশ্রনটি নামিয়ে একটি মলমল কাপড়ের মধ্যে ঢেলে হাত দিয়ে চেপে সব জল বার করে দিন।
৩) তার পর সেই অবস্থায় ১০ মিনিট রেখে দিন। ১০মিনিট পর কাপড় থেকে ছানা বার করে সেটি গুড়ো গুড়ো করে নিন ।
৪) তারপর কিছুটা ময়দা দিয়ে ছানাটা মেখে ছোট ছোট বলের আঁকারে গড়ে নিন।
৫) মাথায় রাখবেন ছানার মিশ্রণ যেন খুব মৃসণ হয়, কোন রকম দলা না থাকে।
শিরা তৈরির প্রক্রিয়া-
৬) আবারও একটি পাত্রে ২ কাপ চিনি ও ৬ কাপ জল নিন , ভালো ভাবে ফোটান যতক্ষণ অবধি না চিনি গলছে, তারপর একটি চামচে একটু মিশ্রন নিয়ে ঘনত্বটা দেখে নিন।
৭) এরপর শিরা তৈরি হয়ে গেলে আগে তৈরি করা বলগুলি শিরার মধ্যে দিয়ে কিছুক্ষন রাখুন। যখন বলগুলি ফুলে রসগোল্লার আঁকার ধারন করবে তখন বলগুলি তুলে আলাদা পাত্রে রাখুন।
মালাই তৈরির প্রক্রিয়া-
৮) আর একটি প্যানে ১ লিটার দুধ দিয়ে সেটি জ্বাল দিতে থাকুন যতক্ষন না অবধি দুধটির পরিমান অর্ধেক হচ্ছে।
৯) এরপর মালাইয়ে আরও স্বাদ আনার জন্য ওর মধ্যে
১ লিটার ক্রিমযুক্ত দুধ দিন তারপর সেটিকে ফুটিয়ে তার মধ্যে একে একে
১কাপ কন্ডেনস মিল্ক
৪ চামচ গুড়ো দুধ
২ কাপ চিনি
২ চিমটি এলাচগুঁড়ো
১ চা চামচ গোলাপজল দিয়ে
নাড়িয়ে আস্তে আস্তে হালকা ক্ষীর হলে তার মধ্যে তৈরি করা রসগোল্লাগুলির রস হালকা চিপে দিয়ে দিন , ৫ মিনিট রাখার পর গ্যাস বন্ধ করে রসমালাই ঠাণ্ডা হতে দিন।
সাজানোর প্রক্রিয়া –
১০) একটি সুন্দর কাচের পাত্র নিন তার মধ্যে তৈরি করা রসমালাই ঢালুন। এরপর গোলাপের পাপড়ি গুলো বা কেশর হালকা ভাবে উপর দিয়ে ছড়িয়ে দিন।
১১) একটি পাত্রে আমন্ড বাদাম ও পেস্তা ভেঙে নিন তারপর সেগুলি রসোমালাইয়ের উপর ছড়িয়ে দিন। দেখবেন গোলাপের পাপড়ি আর বাদামের সংমিশ্রনে দারুণ দেখতে লাগছে আপনার রসমালাই।
কি তালে শিখলেন তো রসমালাই তৈরির পক্রিয়া তাও আবার বাড়িতে উপস্থিত সামগ্রীর মাধ্যমে। তাহলে আপনাকে আর দোকানে গিয়ে কিনে খেতে হবে না। বাড়িতেও খেতে পারবেন আর সাথে সকল চিন্তার অবসান ঘটল। তাই আর সময় অতিবাহিত না করে এই রসমালাই বানানোর রেসিপি অবশ্যই একবার হলেও বাড়িতে তৈরি করুন। আর বাড়িতে অথিতি এলে ঝটপট রসমালাই তৈরি করে তাঁদের পরিবেশন করুন। নিজেও খান আর সবাইকে খাওয়ান।
এই রসমালাই বানানোর রেসিপি কেমন লাগল আর সকলে খেয়ে কি প্রশংশা করল তা আমাদের জানাতে কিন্তু একদম ভুলবেন না। এই ধরনের আরও রেসিপির সন্ধান পেতে চোখ রাখুন আমাদের পেজে।
[…] […]
[…] হয়। আর এই উৎসবের আরও একটি দিক হল ভুরিভোজ, এটি ছাড়া কোন অনুষ্ঠানের মজাই আসে […]