শীতে ঠান্ডা এড়াতে আমরা সবাই গরম কাপড়ের আশ্রয় নিই। এটা করতে গিয়ে অনেক সময় মানুষ রাতেও শরীর গরম রাখতে পশমী কাপড় পরে ঘুমাতে যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি করে আপনি নিজের অজান্তেই নিজের ক্ষতি করছেন। আসুন জেনে নেই কিভাবে।
রাতে গরম কাপড় পরে ঘুমানোর অসুবিধা- একজিমা- ত্বক বেশি শুষ্ক হলে ত্বকে একজিমা হওয়ার আশঙ্কা থাকে, যার কারণে চুলকানির সমস্যা ব্যক্তিকে বিরক্ত করতে শুরু করে। এই কারণেই রাতে গরম কাপড় পড়ে ঘুমানো উচিত নয়।
চর্মরোগ- সংবেদনশীল ত্বকের লোকেরা যদি গরম কাপড় পরে ঘুমায়, তবে তা করার ফলে শরীরের আর্দ্রতা চলে যায়, যার কারণে চর্মরোগ বৃদ্ধি পায়।
পায়ে ফোসকা- প্রায়শই লোকেরা অভিযোগ করে যে তাদের পায়ের তলায় শীতকালে গরম হয় না। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই রাতে পা গরম রাখতে গরম কাপড়ের সঙ্গে মোজা পরে ঘুমান। কিন্তু উলের মধ্যে উপস্থিত তাপ নিরোধক ঘাম ভালোভাবে শোষণ করে না। যার কারণে পায়ে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে এবং ফোস্কাও হতে পারে। এ কারণেই রাতে উলের মোজার পরিবর্তে সুতির মোজা পরার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
অস্থিরতা ও নার্ভাসনেস- রাতে গরম কাপড় পরে ঘুমালে শরীরে তাপ বেড়ে যায়, যার ফলে অস্থিরতা ও নার্ভাসনেসের অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া ওই ব্যক্তির নিম্ন রক্তচাপের সমস্যাও হতে পারে। রাতে ঘুমানোর সময় গরম কাপড় পরার প্রয়োজন হলে থার্মোকট পরা যেতে পারে।
হৃদরোগীদের জন্য বিপদ- পশমী কাপড়ের ফাইবার সুতির কাপড়ের ফাইবারের চেয়ে ঘন হয়। এমতাবস্থায় রাতে গরম সোয়েটার পরিধান করে উষ্ণ রুই পরিধান করলে শরীরের তাপ বন্ধ হয়ে যায়। যা হৃদরোগীদের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
খুলজি- শীতে গরম কাপড় পরে ঘুমালে চুলকানির সমস্যাও বাড়তে পারে। এর কারণ যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয়, তবে উলের ফিলামেন্টগুলি এতে লেগে থাকবে, শক্ত হয়ে যাবে এবং প্রসারিত হবে। যার কারণে ত্বকে র্যাশ, র্যাশ বা র্যাশ দেখা দেয়। এটি এড়াতে, সোয়েটার পরার আগে আপনার সারা শরীরে বডি লোশন লাগান। যার কারণে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
গরম কাপড় পরা প্রয়োজন- শীতকালে পশমী কাপড় পরার প্রয়োজন হলে প্রথমে সুতি বা সিল্কের কাপড় পরে তার ওপর পশমী কাপড় পরে রাতে ঘুমান।