Initium শুধু কোনো একটা প্রকল্প নয়। লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে থাকা একটা স্বপ্ন, শুধু প্রকাশ পায়নি এতদিন। স্বপ্ন আলমারিতে সাজিয়ে রাখার মতো কোনো জিনিস না, সেটা দেখিয়ে দিলেন বনগাঁর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দীনেশ দাস। তিনি ছোটবেলা থেকেই ফাইনান্স ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বের সাথে বোঝার চেষ্টা করেছেন। তার জন্ম খুব একটা বড়োলোক পরিবারে না হওয়ায়, অর্থসকট সম্পর্কে খুব ভালোই ধারণা ছিলো। তাই তিনি ব্যবসায়ী হওয়ার পরও প্রতি মুহূর্তে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করেন। অনেকদিন ধরেই তিনি লক্ষ করেছেন বিভিন্ন ব্যবসা কিভাবে উন্নত পরিকল্পনার জন্য এবং সর্বোপরি অর্থের টানাপোড়েনে মার খায়। তাই সবার কথা মাথায় রেখে তিনি আর্থিক সংকট থেকে বিভিন্ন প্রতিভাধর ব্যবসায়ীদের তুলে আনতে চান।
প্রতিকূলতার মোকাবিলায় কিছু অভ্যন্তরিণ কাঠামো মজবুত করা
প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তিনি আর্থিক জ্ঞান বিতরণের জন্য ফাইনান্সিয়াল অ্যাডভাইসর দের একটি দল গড়ে তোলেন, তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে তার সিদ্ধান্ত গুলোয় আলাদাই এক দৃঢ়তা আসে। লোন সম্পর্কিত যাবতীয় সমস্যা সমাধানে তিনি Fairfiance কে আরও মজবুত করতে থাকেন। ভবিষ্যতের ভীত তৈরী হতে থাকে তার মাথায়।
তিনি বুঝলেন ইতিহাস একদিনে তৈরী করা যায়না। তিনি পর্যাপ্ত সময় এবং শ্রম দিতে শুরু করেন। তার মানসিকতা অনেকে খারাপদিকে চালিত করার চেষ্টা করেছেন কিন্তু যারা মানুষের স্বপ্ন নিজেদের মধ্যে স্থাপন করার ক্ষমতা রাখেন তাদের কেউ ভুল পথে পরিচালিত করতে পারেনা।
স্বপ্নের বীজ তো অংকুরদ্গমের দিকে এগোচ্ছিলো এমন সময় একটা বিষয় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তা হলো মানুষের কাছে পৌঁছনো। আর সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছনো। তখন তিনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর দিকে মন দিলেন। Webriver কে মজবুত করলেন। বেশ কিছু ডিজিটাল মিডিয়া প্লাটফর্মকে আরও আকর্ষণীয় করে তুললেন।
Initium কেনো এক স্বপ্নের প্রকল্প?
এবার আসি একটু বিবরণের দিকে। initium কে একটু ভালো করে বুঝি। কেন বেশিরভাগ ব্যবসায়ির এই পরিকল্পনাকে এত প্রাধান্য দেওয়া উচিত? সে সম্পর্কে একটু ধারণা আনি। প্রথমত, এই প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে সমস্ত খরচা, মানে সঠিক লিড থেকে শুরু করে লোগো,ওয়েবসাইট যে সমস্ত মডিফিকেশন দরকার সমস্ত কিছু Initium এর। এবার যখন এসব আপগ্রেড হওয়ার পর সেই ব্যবসায় উপযুক্ত লাভ আসা শুরু হয়, তখন তার কিছু অংশ Initium নিজেদের প্রাপ্য হিসেবে নেয়। হয়তো অনেকের এখনো অসুবিধে রয়েই গেলো। আচ্ছা ধরুন আপনি একজন ব্যবসায়ী। আপনার মাসিক উপার্জন 1 লক্ষ টাকা। এবার সেটা আপনার জন্য পর্যাপ্ত নয়। আপনি initium এর সহায়তা নিলেন। Initium আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিলো যে আপনার মাসিক উপার্জন তাদের জন্য যদি পরের মাসে 10 লক্ষ টাকা হয়, তখন 3 লক্ষ টাকা initium নেবে প্রাপ্য হিসেবে। তাহলে এটা কোনো স্বপ্নের থেকে কম কি? আপনার ব্যবসার উন্নতিসাধনও হচ্ছে অথচ তাতে আপনার শ্রম বা অর্থের প্রয়োজনই পড়ছেনা। তাই এরকম এক যুগান্তকারী কাজের জন্য শ্রী দীনেশ দাসের জন্য আমাদের তরফ থেকে অনেক শুভকামনা রইলো।