নিজস্ব সংবাদদাতা: আগামী জুন মাস থেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল রাজ্যে। তবে করোনার সংক্রমণ প্রতিদিন যে হারে বাড়ছে, তাতে মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রায় স্থগিত বা বাতিল হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে। এই নিয়ে যখন চূড়ান্ত অনিশ্চিয়তা, তখন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও আগাম পিছিয়ে যাওয়ারই ইঙ্গিত দিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। আজ, বুধবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষা পিছোলে উচ্চ মাধ্যমিকও পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে। আপাতত সংসদ সরকারি সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে।
এদিন তিনি বলেন, “পরীক্ষার্থীদের জীবনের থেকে মূল্যবান আর কিছু হতে পারে না। এই পরীক্ষা করোনা মিটলেও হতে পারে। তবে যখনই পরীক্ষা হোক, তা হবে নিজের স্কুলেই।” দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকে করোনার যা বাড়বাড়ন্ত তৈরি হয়েছে গোটা দেশে, বাংলাও তার ব্যতিক্রম নয়। আর তাতে এটুকু পরিষ্কার যে, রাজ্যের এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। তবে পরীক্ষা বাতিল হবে, নাকি পরে হবে তা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্কুল শিক্ষা সচিবের সঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বৈঠকের পর মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছে৷
উল্লেখ্য, আগামী ১ জুন থেকেই রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা করা কোনওভাবেই সম্ভব নয়৷ একেই লোকাল ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে জেলায় জেলায় উত্তরপত্র পাঠানো একপ্রকার অসম্ভব। জেলার ক্ষেত্রে লোকাল ট্রেনই বড় ভরসা ছিল পর্ষদের৷ এদিকে, পরীক্ষা না হলে কীভাবে ছাত্রছাত্রীদের নম্বর দেওয়া হবে, সেটাও পর্ষদের কাছে তা জানতেও চেয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর৷ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “আপাতত ওই নির্ধারিত সূচি অর্থাৎ মাধ্যমিক পরীক্ষা ১ জুন শুরু হয়ে ১০ জুন ঐচ্ছিক বিষয় হয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আপাতত হচ্ছে না। তবে এই পরীক্ষা পিছিয়ে যাবে নাকি বাতিল হবে, তা সরকারের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”