নিজস্ব সংবাদদাতা: শেষ হয়েছে দীর্ঘ কয়েক মাসের ভোট যুদ্ধ। ফলাফলটাও এখন চোখের সামনে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হ্যাট্রিক করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকালই শপথ গ্রহণ করবেন তিনি। তাঁর দাপটের কাছে কার্যত খড়কুটোর মতো ভেসে গেছে গেরুয়া শিবির। পশ্চিমবঙ্গে তাদের ক্ষমতায় আসতে অপেক্ষা করতে হবে আরও অন্তত ৫ বছর।
২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়েছে মোট ২৯২টি আসনে। জঙ্গিপুর এবং সামসেরগঞ্জের ভোটগ্রহণ স্থগিত ছিল। ফলাফল বলছে মোট ২১৩টি আসন জিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি পেয়েছে ৭৭টি আসন। এছাড়া সংযুক্ত মোর্চার শরিক আইএসএফ একটি আসন জিতেছে। বাকি আসনটি জিতেছে এক নির্দল প্রার্থী।
কালিম্পংয়ের নির্দল প্রার্থী রুদেন সাদা লেপচা পেয়েছেন মোট ৫৭৩৪৪ ভোট। পাহাড়ি শহরে বিধায়ক তিনিই। কিন্তু তাঁর কথা বাদ দিলেও এবারের ভোটে আরও এক নির্দল প্রার্থী কিন্তু নজর কেড়েছেন। কে তিনি? আসুন দেখে নেওয়া যাক।
বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে এবার নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন দীনেশ দাস। ভোট শেষের ফলাফল বলছে, ওই আসনটি জিতেছেন বিজেপির অশোক কীর্তনিয়া। কিন্তু কোনওরকম দলের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই বনগাঁ উত্তর থেকে দীনেশ দাস পেয়েছেন ১৪৭৮ ভোট। নির্দল প্রার্থীর এই ভোট সংখ্যা নিঃসন্দেহে চমক জাগায়।
দেখা গেছে, নির্দল প্রার্থীদের তালিকায় প্রাপ্ত ভোটের হারে কালিম্পংয়ের প্রার্থীর পরেই রয়েছেন দীনেশ দাস। নির্দল হিসেবে হাজারের গণ্ডি ছুঁতে পারেননি আর কেউই। তা ছাড়া নির্দল হিসেবে দাঁড়ালেও কালিম্পংয়ের রুদেন সাদা লেপচা কতটা দলমত নিরপেক্ষ তা নিয়ে একটা প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়। অনেকেই মনে করেন তিনি আদতে মুক্তি মোর্চা সমর্থিত প্রার্থী। সেক্ষেত্রে দীনেশ দাসের নির্বাচনী মার্কশিট যে নজর কেড়েছে তা বলাই বাহুল্য।
কোনও দল ছাড়াই দেড় হাজারের কাছাকাছি মানুষ তাঁকে ভোট দিয়েছেন। ভোটের আগে প্রচারেও তিনি নজর কেড়েছিলেন। স্বার্থ ছাড়াই মানুষের পাশে দাঁড়ানো, নানা সমাজসেবা মূলক কাজের জন্য এর আগেও প্রশংসিত হয়েছেন দীনেশ দাস। ফলে এবারের ভোটের ফলাফলে নির্দল প্রার্থী হিসেবে তাঁর কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।