নিজস্ব সংবাদদাতা: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মাত্র কয়েকদিন হল। ভোটের আগে একের পর এক দলীয় নেতার পদত্যাগে যখন কার্যত দিশাহারা রাজ্যের শাসকদল, তখন স্রোতের উল্টৌদিকে হেঁটে গেরুয়া থেকে সবুজ হয়েছেন তিনি। আর এই পদক্ষেপের পুরস্কার পেতে বিশেষ দেরি হল না বাজপেয়ী জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহার। তৃণমূলের কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি এবং ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যপদে নিযুক্ত হলেন তিনি।
সোমবার প্রেস বিবৃতি দিয়ে তৃণমূলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, যশবন্ত সিনহার নতুন দলে নতুন পদোন্নতি। রাজনীতির আঙিনায় অভিজ্ঞতা, দক্ষতার নিরিখেই যে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত করা হল প্রাক্তন বিজেপি মন্ত্রীকে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। বিধানসভা ভোটের আগে এহেন রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের শাসকদল নিজেদের শক্তিই বাড়িয়ে নিল আরো খানিকটা।
গত শনিবার তৃণমূল ভবনে এসে হঠাৎই জোড়াফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন বাজপেয়ী জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এই দলবদল একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল রাজনৈতিক মহলের কাছে। সূত্রের খবর, সেদিন সকালেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে বেলার দিকে দলে যোগ দেন তিনি। তৃণমূল ভবনে তাঁর হাতে দলের পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের তিন শীর্ষনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন এই আচমকা দল পরিবর্তন? যশবন্ত সিনহা এই প্রশ্নের উত্তর জানিয়েছিলেন নিজেই। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসাও শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। তিনি বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই একজন যোদ্ধা। তাঁর এই যোদ্ধাসুলভ মানসিকতাকেই সম্মান করেন তিনি। সেই সঙ্গে পুরোনো দলের বিরুদ্ধে এক রাশ সমালোচনাও উঠে এসেছিল যশবন্ত সিনহার জবানীতে। সোমবার থেকে তৃণমূল ন্যাশনাল ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হওয়ার পাশাপাশি সর্বভারতীয় স্তরে সহ-সভাপতি তিনি। এর ফলে তিনি কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরের পদেই উপনীত হলেন বলা যায়।