নিজস্ব সংবাদদাতা: গতকাল নন্দীগ্রামের রানিচকে একটি মন্দিরে হরিনাম সংকীর্তনে অংশ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বেরনোর সময় দুষ্কৃতীদের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। তাঁর বাঁ পায়ে গুরুতর চোট লেগেছে। পাশাপাশি তাঁর মাথা এবং কপালেও চোট লেগেছে। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ভিড়ের মধ্যে তাঁকে চার-পাঁচ জন ধাক্কা দেয়। ষড়ষন্ত্রেরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
এবার এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে বিঁধলেন লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। টুইটে আরজেডি নেতা লিখেছেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর কাপুরুষোচিত গুণ্ডাদের আক্রমণের তীব্র নিন্দা করি”। পাশাপাশি লালুপুত্র সাফ লিখেছেন, “রাজ্য পুলিশ এখন নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে, যা বিজেপির নির্দেশে চলে। মানুষ জানে যাঁদের গণতন্ত্রে বিশ্বাস নেই তাঁরা পরাজয়ের ক্ষোভ উগরানোর জন্য যা কিছু করতে পারেন”।
পাশাপাশি মমতার পাশে দাঁড়িয়েই টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ও। তিনি টুইটে লিখেছেন, “দিদির দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। দিদি আপনাকে কঠিন লড়াই লড়তে হবে। আপনি নিশ্চয়ই জিতবেন”। টুইট করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনা করেছেন আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। টুইটে আপ সুপ্রিমো লিখেছেন, “এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করি। মমতা দিদির উপর যাঁরা হামলা করেছেন তাঁদের গ্রেফতারি ও সাজার দাবি করি”।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ওমর জানিয়েছেন, ঘটনাটি তাঁর বাবা ফারুক আবদুল্লাও নিন্দা করছেন। ওমর টুইট করেছেন, প্রচারের সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার ঘটনা আমার সঙ্গে আমার বাবাও নিন্দা করছেন। রাজনীতির ময়দানের চড়াই উতরাইতে শারীরিক হিংসা না হওয়াই কাম্য। আশা করছি, নির্বাচন কমিশন গুরুত্ব দিয়ে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ঘটনায় আজ তোলপাড় হয়েছে জাতীয় রাজনীতিও। বৃহস্পতিবার দিল্লী বিধানসভায় আম আদমি পার্টির বিধায়ক আমানতুল্লা সরাসরিই তৃণমূল নেত্রীর ওপরে হামলার ঘটনার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেন। তাঁর অভিযোগ, “তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরে বুধবার নন্দীগ্রামে যে হামলা হয়েছে, তার পিছনে বিজেপির মদত রয়েছে”। তার ওই অভিযোগের পরেই বিজেপি বিধায়করা হইচই শুরু করে দেন। জোর বচসায় জড়িয়ে পড়েন আপ ও বিজেপি বিধায়করা।