নিজস্ব সংবাদদাতা: দিন কয়েক আগেই আসানসোল দক্ষিণ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে সায়নী ঘোষের নাম ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের মুখে দলে যোগ দিয়েই টিকিট পেয়ে উচ্ছ্বসিত টলিউড অভিনেত্রী। মানুষের মন জয় করতে নেমে পড়েছেন প্রচারেও। কিন্তু পুরোনো বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না সায়নী ঘোষের।
পাঁচ বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় শিবলিঙ্গে কন্ডোম পড়ানোর ছবি পোস্ট করে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন সায়নী ঘোষ। যদিও অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার দাবি করেছিলেন অভিনেত্রী, কিন্তু বিতর্ক তাতেই থামেনি। হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত হানার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। একুশের ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার পর থেকে সেই পুরোনো বিতর্কই ফের মাথা চারা দিয়ে উঠেছে। যার জেরে এদিন ভোটের প্রচারেও বাঁধা পেতে হল সায়নী ঘোষকে। স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা পড়াতে গিয়ে বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন আসানসোল দক্ষিণের ঘাসফুল প্রার্থী সায়নী ঘোষ, এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে।
বলা বাহুল্য, গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধেই। ঠিক কী হয়েছিল? জানা গেছে, স্বামীজির মূর্তিতে মালা পড়াতে দেওয়া হবে না বলে সায়নী ঘোষের আসার আগে থেকে মূর্তির বাউন্ডারিতে তালা ঝুলিয়ে দেয় স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। তাদের দাবি, অভিনেত্রী হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করেছিলেন, তাই স্বামীজির মূর্তিতে মালা দেওয়ার কোনো অধিকার নেই তাঁর। ঐ ঘটনায় এলাকায় সাময়িক চাঞ্চল্য তৈরি হলেও পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ তালা ভাঙার পরেই মূর্তিতে মালা দিতে পারেন সায়নী ঘোষ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বছর পাঁচেক আগে সায়নী ঘোষের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছিল, যেখানে দেখা গেছে শিবলিঙ্গে কন্ডোম পড়ানো হচ্ছে। স্বভাবতই এই পোস্ট তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করে। পুরোনো কলঙ্ক মোছার জন্য অবশ্য মরিয়া অভিনেত্রী। আসানসোল দক্ষিণে শিব মন্দিরে পুজো দিয়েই ভোট প্রচার শুরু করেছেন তিনি।