নিজস্ব সংবাদদাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে টলিউডের যোগ বেড়ে গেছে চোখে পড়ার মতো। রুদ্রনীল ঘোষ হোক বা রাজ চক্রবর্তী, সায়নী ঘোষ হোক বা পায়েল সরকার, ভোটের আগে রাজনীতির আঙিনায় ভিড় করেছেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের কলাকুশলীরা। এমতাবস্থায় রাজনীতি কি ফাটল ধরাচ্ছে টলিউডের ঐক্যে? সাম্প্রতিক ঘটনায় উঠে গেল প্রশ্ন।
“বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়“, একুশের ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে রেখে এই নতুন স্লোগানের মাধ্যমেই প্রচারে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সমর্থক মহলে জনপ্রিয় শাসকদলের এই স্লোগান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে গতকাল বিতর্কে জড়ান বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়। “মেয়েরা পরের সম্পত্তি”, তাই স্লোগান অনুযায়ী ‘বাংলার নিজের মেয়ে’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এবার বিদায় করে দেওয়া হবে, এমনটাই বলেছিলেন আসানসোলের সাংসদ। তাঁর বিতর্কিত ওই ট্যুইটের সমর্থনে এবার সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া রাজ চক্রবর্তীকে আক্রমণ করলেন গেরুয়া নেতা রুদ্রনীল ঘোষ।
বাবুল সুপ্রিয়ের ট্যুইট ঘিরে বিতর্ক ছড়ানোর পর অনেকের মতো বিজেপিকে এক হাত নেন রাজ চক্রবর্তীও। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মেয়েদের পরের সম্পত্তি ভাবে বিজেপি, এবং সেটা ভেবে মেয়েদের অসম্মান করে। দেশ যেহেতু আমাদের মা, সেটা শীঘ্রই ওরা অন্যদের হাতে দিয়ে দেবে।” রাজ চক্রবর্তীর এই মন্তব্যের পাল্টা হিসেবে বাবুলের সমর্থনে সুর চড়ান রুদ্রনীল ঘোষ। টলিউড পরিচালকের উদ্দেশ্যে তাঁর প্রশ্ন, “তুই তাহলে শুভশ্রীর বাড়িতে গিয়ে থাকছিস না কেন?” এহেন ব্যক্তিগত আক্রমণ বিতর্কের ঝাঁঝ বাড়িয়েছে।
অবশ্য গেরুয়া নেতার আক্রমণের পাল্টা দিয়েছেন রাজও। তাঁর কথায়, “এখানে শুভশ্রী কোথা থেকে এল? তবে আমার অসুবিধা নেই। এর থেকে ভালো কিছু হতেই পারে না। যদি ভালোবেসে আমার শ্বশুর আমাকে রাখে এর চেয়ে ভালো কিছু হয় না। বেটি কোনওদিন পরায়া ধন নয়।”