প্রতিদিন ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা চলছে এবং প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে । ২০১৮ সালে পৃথিবীতে ৯৬ লক্ষ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত মারা গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী ভারতে প্রতিবছর কর্কট রোগে আক্রান্ত হন ১১.৫৯ লক্ষ মানুষ। আর ম্রিত্যু হয়েছে ৭.৮৪ লক্ষ্য মানুষের।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষায় জানা গেছে ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে ১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটবে। কিন্তু কেন এই রোগের সৃষ্টি হয় তা অনেকেরই অজানা। তাই আজ আপনাদের জানাব কি কি কারনে ক্যনাসার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
ক্যান্সার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে যে কারনসমূহে
জিনগত সংক্রমণ
সমীক্ষায় জানা যায় পারিবারের কেউ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে অনেকসময় জিনগত এই রোগ বাহিত হয়। তাই পরিবারের কারোর থাকলে বা আগে ছিল কিনা সেই সম্বন্ধে নিশ্চিত হন। এই রোগ মারন রোগ, যেহেতু এটি জিনগত ভাবে সংক্রমিত হয় তাই ডাক্তারের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করে নেওয়া শ্রেয়।
genetic engineering and biotecnology news
বয়ঃসন্ধি জনিত কারনে
এই রোগ বেশীরভাগ ক্ষেত্রে বেশী বয়শী মানুষদের উপর হানা দেয়। যত বয়স বাড়ে ক্যানসার হওয়ার ঝুকি তত প্রবল হয়। ক্যান্সার দুর্বল জীর্ন শরীরে থাবা বসায় কারন বয়স হলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমত কমে যায়। শরীররের বিভিন্ন অংশ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। কোষের অবনতি ঘটে ফলে মানুষ ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।
sanofi
রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার ফলে
রাসায়নিক পদার্থের সাথে ক্যান্সারের অনেক বড় একটা সম্পর্ক রয়েছে। যেমন, জমেসোথেলিওমিয়া-তে আক্রান্তদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই এসবেস্টস ধাতুর সংস্পর্শে আসার কারণে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া রঙ্গের কারখানা, রাবার কারখান , বিভিন্ন রাসায়নিক কারখানা থেকে নির্গত ধোয়া, বা কোন কীটনাশক কিংবা রাসায়নিক মিশ্রিত গ্যাস নিঃশ্বাস- প্রশ্বাসের মাধ্যমে মানুষের শরীরে গিয়ে এই মারন রোগের ঘাঁটি বাধে।
spirit of metal
দূষণ সৃষ্টির কারনে
অনেক ক্ষেত্রে জলদূষণ, বায়ুদূষণ থেকেও এই রোগের জন্ম হতে পারে। অনেক সময় আমরা অজান্তেই দুষিত জল খেয়ে ফেলি যার মধ্যে কীটনাশক থেকে শুরু করে ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে এমনকি প্রতি নিয়ত এতো পেট্রল, ডিজেলের গ্যাস, কারখানার গ্যাস বায়ুতে মিশছে এবং আমরা সেটি নিঃশ্বাসের মাধ্যমে নিজ শরীরে ধারন করছি। ফলে অজান্তেই আমাদের শরীরে সেটি বিষক্রিয়া শুরু করে এবং ফলস্বরূপ এই রোগের জন্ম দেয়।
npr.org
ভাইরাসের কবলে পড়ে
কিছু কিছু ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে কর্কট রোগের সৃষ্টি করে। যেমন হেপাটাইটিস বি ও সি, এইচআইভি, এবস্টেইন বার ভাইরাস, সাইটোমেগালো ভাইরাস ও কিছু পরজীবী যেমন সিস্টোসোমিয়াসি এই জাতীয় ভাইরাস আমদের শরীরের ক্যানাসারের বীজ পুতে দেয় যার ফলে আমাদের শরীরে ক্যান্সারের ফলন হয়।
on health
স্বাস্থ্যকর খাদ্যের অভাবে
য়ে যায়। কিন্তু জানেন কি এই আঁচ থেকেও হতে পারে ক্যান্সার। গবেষকরা বলেন, উচ্চ আমিষযুক্ত খাবার যেমন মাছ মাংস ইত্যাদি অতিরিক্ত তাপে রান্না করলে খাবারে দুটি রাসায়নিক উপাদান এইচসিএ ও পিএএইচ সৃষ্টি হয়। মনে করা হয় যে, এগুলো ক্যান্সারের কারণ।
natural socaity
অতিরিক্ত ধূমপান জনিত কারন
ধূমপান কর্কট রোগের কারন। এর ফলে ক্যানসার হয়। সিনেমার হলে এই সতর্কবার্তা আমরা সবাই পেয়ে থাকি। আবার সিগারেটের প্যাকেটের গায়েও লেখা থাকে Smoking is injurios of healt, it causes cancer। কিন্তু কেউই আটাকে পাত্তা দেয় না। ধূমপানের সঙ্গে ক্যান্সারের সম্পর্ক অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত। বিশ্বে যতধরনের ক্যান্সার আছে তারমধ্যে ৯০ শতাংশ ক্যান্সারই ধূমপানের কারণে হয়। এমনটাই জানাছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। প্রতিদিন ধূমপানের ফলে ধীরে ধীরে শরীরে বাসা বাধে ক্যান্সার। এবং এটি দেহের যে সমস্ত অংশে সব থেকে বেশি আক্রমন করে সেগুলি হল, ফুসফুস, খাদ্যনালী স্বরযন্ত্র মুখ-গহ্বর, গলা, কিডনি, মূত্রথলি, অগ্ন্যাশয়, পাকস্থলী এমনকি জরায়ু মুখেও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। আমেরিকান ক্যান্সার-বিশেষজ্ঞ রিচার্ড ডেল ও রিচার্ড পেটোর মতে, মানবদেহে যত ধরনের ক্যান্সার হতে পারে তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধূমপান ও তামাকের সরাসরি ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া ধুমপানের ফলে আপনার মুখ থেকে নির্গত ধোঁয়া পাশের লোকের স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকারক। কারণ, আপনার ত্যাগ করা ধোঁয়া অন্যের শরীরে গেলে তার দেহেও বাঁধতে পারে ক্যান্সারের বাসা।
medical express
যৌন মিলনে সুরক্ষা বজায় ন রাখলে
অনেকেই সুরক্ষার কোথা না ভেবেই অনেকের সাথে যৌন মিলনে লিপ্ত হন কিন্ত জানেন কি অবাঞ্ছিত যৌন মিলন কিন্তু ক্যানসারের আঁতুড়ঘর। এই যৌন সংঘর্ষের ফলে আপনার শরীরে আইচ এই ভি র মতো সমস্যা তরি হতে পারে জা নিজেই একটি মারন রোগ, আর তার উপর যদি আর দরুন ক্যন্সার হয় তাহলে আপনার বাচার প্রদীপের সলতে ক্ষীন হয়ে যাবে । অবাঞ্চিত যৌন সংসর্গে হতে পারে লিভারের ক্যান্সার।
medical news today
উচ্চ তাপের প্রভাবে
বাড়িতে বেশীরভাগ সময় দেখ যায় যিনি রান্না করছেন বেশীর ভাগ সময় বেশী আঁচেই রান্না করেন যাতে রান্না তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। কিন্তু জানেন কি এই আঁচ থেকেও হতে পারে ক্যান্সার। উচ্চ আমিষযুক্ত খাবার যেমন মাছ মাংস ইত্যাদি অতিরিক্ত তাপে রান্না করলে খাবারে দুটি রাসায়নিক উপাদান এইচসিএ ও পিএএইচ সৃষ্টি হয় মনে করা হয় যে, এগুলো ক্যান্সারের কারণ।
pixabay
সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির দরুন
আমরা জানি সূর্যের আলো আমাদের শরীরে জন্য স্বাস্থ্যকর। কারন তাতে ভিটামিন ডি থাকে জা আমাদের শরীরে সঞ্চার হলে মেলালিন সৃষ্টি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু সকল বিশয়েরই ব্যাতিক্রম থাকে তেমনি সেটি সূর্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সুর্যের থেকে নির্গত অতি বেগুনী রশ্মি আমাদের স্বাথ্য এবং ত্বকের উপর মারাত্বক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যা থেকে হয় স্কিন ক্যান্সার। এছাড়াও ফোনের রেডিয়েশনের থেকেও ত্বকের ক্যানসার জনিত সমস্যা দেখা যায়।
Dr. Suvadip Chakrabarti