নিজস্ব সংবাদদাতা- নবান্ন অভিযানে পুলিশের মারে আহত ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর প্রতিবাদে বজবজ থানার অন্তর্গত ফাঁড়ি ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হল বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষ থেকে। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বজবজে দীর্ঘদিন পর বিরোধী পক্ষ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারল। খাতায়-কলমে ডিওয়াইএফআই এই কর্মসূচির ডাক দিলেও জোট ধর্ম মেনে কংগ্রেসও এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিল। সিপিএমের বজবজ এরিয়া কমিটির অফিস বঙ্কিম মুখার্জী ভবন থেকে মিছিল শুরু হয়ে ৫০ মিটার দূরে বজ বজ তদন্ত কেন্দ্রের সামনে মিছিল গিয়ে পৌঁছয়। সেখানে প্রায় এক ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বজবজ বিধানসভা কেন্দ্রটি ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনো এক অজানা কারণে দীর্ঘদিন এই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভাগুলিতে বিরোধী পক্ষ সেভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারে না। বজবজে এই সমস্যা আরও বেশি। কিন্তু মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর ঘটনায় বাম-কংগ্রেস জোট যেভাবে তেড়ে-ফুঁড়ে রাস্তায় নেমেছে তাতে সমস্ত বাধা বিপত্তি তুচ্ছ করে তারা আজ থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে।
এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক আক্তার হোসেনের পাশাপাশি ডিওয়াইএফআইয়ের বজবজ এরিয়া কমিটির সভাপতি মঞ্জুর রহমান ও সম্পাদক তাপস সাউ বক্তব্য রাখেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক গৌতম গাঙ্গুলীও এই বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন। কংগ্রেসের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি মুজিবর রহমানও বক্তব্য রেখেছেন জোট ধর্ম মেনেই। বক্তারা প্রত্যেকেই এই যুব কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি তৃণমূলকে নিশানা করেন। তারা জানিয়েছেন আগামী বিধান সভা নির্বাচনে এই ঘটনার প্রতিশোধ সাধারণ মানুষ ইভিএম দেবে। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটল বিক্ষোভ-সমাবেশের শেষে উপস্থিত বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা যখন বজবজ তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ কর্মীদের গোলাপ ফুল দিতে যান তারা জানিয়ে দেন ওপরতলার নির্দেশে ফুল নেওয়া যাবে না।
গান্ধীগিরি করে ফুল গ্রহণের প্রস্তাব পুলিশ ফিরিয়ে দিচ্ছে, অতীতে এরকম ঘটনার নজির এ রাজ্যে খুব একটা নেই।