নিজস্ব সংবাদদাতা- “আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুনরায় মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করার লড়াই নয়”, বলে সভাস্থলকে অবাক করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও ক্ষণিকের ঘোর ভেঙে দিয়ে পরমুহুর্তেই তিনি বলেন, “এ লড়াই বাংলা থেকে বহিরাগতদের দূর করার লড়াই”। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ঢোলেরহাটের জনসভার মঞ্চ থেকে আজ বহিরাগত ইস্যুতে বারবার সরব হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে তৃণমূলের দ্বিতীয় স্টার ক্যাম্পেনার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তার জনসভাতেই সবচেয়ে বেশি ভিড় হচ্ছে। আজও এই জনসভায় ব্যাপক ভিড় হয়। ভিড় দেখে উজ্জীবিত হয়ে তিনি বলেন, “বহিরাগত নেতাদের গুটখার থুতুতে বাংলার লোহায় জং ধরবে না।” বোঝাই যাচ্ছে উত্তর ভারতীয় সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত বিজেপি নেতাদের গুটকা খাওয়ার অভ্যাসের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বুঝিয়ে দেন এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসন লোহার চেয়েও শক্তিশালী, তা হেলানো বিজেপির নেতাদের পক্ষে সহজ নয়।
নাম না করে তার বিরুদ্ধে বিজেপি নেতৃত্বের বারবার দুর্নীতির অভিযোগ তোলার দিকেও ইঙ্গিত করেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, “আপনিতো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ইডি-সিবিআই সবকিছু আপনার হাতে। তাও আমার নাম নিতে পারছেন না? আপনার এই সাহস হচ্ছে না দেখে আমি বেশ মজা পাচ্ছি।” প্রসঙ্গত অমিত শাহ গত পরশু পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার এবং দক্ষিণবঙ্গের ঠাকুরনগরে জনসভা করেন। নিয়মমতো দুটি জনসভার মঞ্চ থেকেই তিনি পিসি-ভাইপোর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বলেন, “বিজেপি নেতারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জয় শ্রীরাম বলবে, কিন্তু উত্তর ভারতে আসলে বলা হয় জয় সিয়ারাম। মানে আগে সিতা মাতা তারপর রাম। অথচ এরা জয় সিয়ারাম বলবে না, কারণ বিজেপি মানেই মহিলাদের অসম্মান। এরা কখনও কোনো মহিলাকে সম্মান করতে জানে না। তাই তো দেশের মধ্যে বর্তমানে একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎখাত করার জন্য এইভাবে তেড়ে-ফুঁড়ে লেগেছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে ৫০০ জন নেতা এসে পশ্চিমবঙ্গের ভোটে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। যদিও এতে লাভের লাভ কিছুই হবে না। মে মাসে বিধানসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর সমস্ত বহিরাগতকে বাংলা ছাড়া করে ছাড়ব আমরা।”