নিজস্ব সংবাদদাতা: অনলাইন সাইটগুলিতে বিকিকিনি বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে খুবই স্বাভাবিক বিষয়। ঘরে বসে নিজের প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতেই এখন বেশি স্বচ্ছন্দ্য মানুষ। যার ফলে এভাবে অনলাইনে কেনাকাটা করতে গিয়ে জালিয়াতির শিকারও হন দেশের কিছু সংখ্যক মানুষ। আর এবার সেই জালিয়াতির শিকার হলেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মেয়ে। অভিযোগ, প্রায় ৩৪ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে। ইতিমধ্যে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও এখনও অবধি মূল অভিযুক্ত অধরা।

কেজরি
indiatimes

জানা গিয়েছে, অনলাইনে একটি পুরনো সোফা বেচতে গিয়ে জালিয়াতির শিকার হন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মেয়ে। এক ব্যক্তি ওই সোফা কিনতে আগ্রহ দেখান। টাকা পাঠানোর জন্য অনলাইনে একটি বার কোড পাঠান। তিনি কেজরিওয়ালের মেয়েকে জানান এই বার কোড স্ক্যান করলেই টাকা পাঠানো যাবেন। সেই মতো কেজরিওয়ালের মেয়ে এই বারকোডটি স্ক্যান করেন। অভিযোগ এরপরেই দুই দফায় অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথমে ২০ হাজার ও পরে ১৪ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। তার পর থেকে ওই ব্যক্তির সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এর পরেই সিভিল লাইনস পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের হয়। ইতিমধ্যেই সেই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। খাস মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনা, যা স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই আর্থিক লেনদেনের যাবতীয় তথ্য খুটিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, পুরনো একটি সোফা বিক্রি করতে গিয়েই এই ঘটনাটি ঘটে। গোটা ঘটনাটি ঘিরে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। এমনতি প্রায় নিত্যদিনে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনলাইনে প্রতারিত কিংবা জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসে। এবার তেমন ঘটনার শিকার হলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীরই মেয়ে।

তবে এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি। ঘটনার পর থেকে ওই অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগও করা যায়নি। দুই দফায় মোট ৩৪ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। একটি বার কোডের মাধ্যমেই এই জালিয়াতির ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। অনলাইনে একটি পুরনো সোফা বিক্রি করছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মেয়ে। তখই অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি নিজেকে ক্রেতা বলে পরিচয় দেয়। তার পরেই অনলাইনে প্রতারিত হন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মেয়ে। যা স্বভাবতই অস্বস্তিতে ফেলেছে দিল্লী প্রশাসনকে।