নিজস্ব সংবাদদাতা- রাজ্যবাসীর কাছে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে এবার ক্ষমা চাইল বিজেপি। বিষ্ণুপুরের সাংসদ এবং যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ টলিউড অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে ঘুরিয়ে যৌনকর্মী বলে চিহ্নিত করেন। যা নিয়ে বাংলার সাংস্কৃতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। অনেক সাধারন মানুষও এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাদের রাজ্য মুখপাত্র প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য্য সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান দল এই ধরনের মন্তব্য সমর্থন করে না।
সায়নী ঘোষের সঙ্গে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়ের প্রথম বিতর্ক শুরু হয় সামাজিক মাধ্যমে। একাধিক ইস্যুতে এই দু’জন বাকবিতন্ডায় মেতে ওঠে। এরপরই সায়নী ঘোষের প্রোফাইল ঘেঁটে বেশ কয়েক বছরের পুরানো একটি শেয়ার করা পোস্ট সামনে নিয়ে আসেন তথাগত বাবু। সেই পোষ্টের গ্রাফিক্সে ছিল শিব লিঙ্গের ওপর শিবরাত্রির দিন কন্ডম পরিয়ে জল ঢালতে উদ্যত হয়েছেন এক মহিলা।
বিজেপির সমর্থকরা দাবি করে শিবলিঙ্গতে কন্ডম পড়ানোর ছবি শেয়ার করে হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন এই টলিউড অভিনেত্রী। রবীন্দ্র সরোবর থানায় সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তথাগত রায়। এরপর গত পরশু বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ একটি সমাবেশের মঞ্চ থেকে বলেন, “টলিউডের এক অভিনেত্রী শিব লিঙ্গে কন্ডম পড়ানোর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে। যারা শিব লিঙ্গে কন্ডম পরায় তারাই আসলে যৌনকর্মী।” নাম না নিলেও এই কথা যে সায়নী ঘোষকে উদ্দেশ্য করেই বলা তা জলের মতো পরিষ্কার।
একজন পরিচিত অভিনেত্রীকে সরাসরি যৌনকর্মী বলে চিহ্নিত করার পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠতে শুরু করে রাজ্যবাসীর একাংশ। এরপরই গেরুয়া শিবিরে নেতারা ঘরোয়া স্তরের আলোচনায় বলতে শুরু করেন এই ধরনের কথা যদি ক্রমাগত বলা হয় তাহলে বাংলার ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে, তার সত্যি হবে না। এরপরই রাজ্য দলের নির্দেশে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য্য সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেন সৌমিত্র খাঁ-এর মন্তব্য দল অনুমোদন করছে না। তিনি বলেন, “সৌমিত্র খাঁ যে মন্তব্য করেছেন তা কখনোই বিজেপির বক্তব্য নয়। বিজেপি এই ধরনের মন্তব্য করে না।”
বঙ্গ রাজনীতিতে কু’কথার স্রোত অবশ্য নতুন নয়। সম্প্রতি একটি নিউজ চ্যানেলে মুখোমুখি হয়ে মদন মিত্র এবং অর্জুন সিং অত্যন্ত কদর্য ভাষায় পরস্পর পরস্পরকে আক্রমণ করেন।