নিজস্ব সংবাদদাতা- বাম-কংগ্রেস জোটের জট কেটেও যেন কাটছে না। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে টক্কর নেওয়ার উদ্দেশ্যে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস এক হয়ে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। কিন্তু আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পরই জোটের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন দেখাচ্ছে। গত লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এবারেও না এই দুই পক্ষের মধ্যে জোট ভেস্তে যায়!
আজ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বাম নেতাদের বৈঠক ছিল। সন্ধ্যেবেলায় সেই বৈঠক শেষে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানান আজকের বৈঠকে ৭৭ টি আসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাকি ২১৭ টি আসন নিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনা হবে বলে দাবি করেছেন এই সিপিআই(এম) নেতা।
সূত্রের খবর আগের দিনের মতোই আজকের বাম-কংগ্রেস নেতৃত্তের বৈঠক বলতে গেলে নিষ্ফলা। মোট আসন সংখ্যা নিয়ে দু’পক্ষই কোনো সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী যেমন কমপক্ষে ১৩০ টি আসনে লড়াই করার ব্যাপারে অনড়, তেমনি সূর্যকান্ত মিশ্ররা ১০০ টির বেশি আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে রাজি নয়।
কংগ্রেসের অন্দরমহল সূত্রের খবর মূলত মুর্শিদাবাদ, মালদা এবং উত্তর দিনাজপুরের আসনগুলি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে এআইসিসির ঠিক করে দেওয়া কমিটির অন্যতম সদস্য নেপাল মাহাতো পুরুলিয়ার ৯ টি বিধানসভা কেন্দ্রেই এককভাবে লড়াই করার দাবি তোলায় জটিলতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অনেকের ধারণা।
সিপিআই(এম)-এর অভ্যন্তরীণ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে অধীর চৌধুরীরা ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের জেতা বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থী দিতে চেয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বাম নেতৃত্ব কংগ্রেসের এই প্রস্তাবে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। এমনকি তারা ঘরোয়া স্তরে বলতে শুরু করেছে প্রয়োজনে জোট থেকে বেরিয়ে গিয়ে বাম ও বাকি গণতান্ত্রিক দলগুলিকে একজোট করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।