নিজস্ব সংবাদদাতা- শোনা যাচ্ছে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিতে পারে নির্বাচন কমিশন। তার আগে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ আজ রাজ্যে আসছে। আগামীকাল ও পরশু, অর্থাৎ ২১ ও ২২ জানুয়ারি তারা রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলবেন। সূত্রের খবর ডিএম ও সিপিদের জেলার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট নিয়ে কমিশনের সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পাশাপাশি গত পঞ্চায়েত এবং লোকসভা ভোটের সময় আইন শৃঙ্খলার কী পরিস্থিতি ছিল তাও খতিয়ে দেখবে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে খানিকটা বেকায়দায় পড়তে হতে পারে। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তারা রাজ্যে বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি বলে অতীতে বারবার অভিযোগ উঠেছে।

বিজেপির তরফ থেকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন তারা কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে ভোটার তালিকা নাম ওঠা ৪-৫ লাখ রোহিঙ্গার নাম বাদ দেওয়ার দাবি জানাবেন। যদিও ঠিক কোথায় কোথায় রোহিঙ্গাদের নাম ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব এড়িয়ে যান।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে কুনাল ঘোষ বিজেপির এই দাবির প্রতি কটাক্ষ করে বলেন, “নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নিয়ে অভিযোগ জানান। প্রমাণ করতে পারলে কমিশন নিশ্চয়ই রোহিঙ্গাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেবে।”

করোনা পরিস্থিতিতে বিহারে প্রথম বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই মডেল অনুসরণ করেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। বিহার মডেলকে অনুসরণ করলে রাজ্যের বুথ সংখ্যা বেশ খানিকটা বৃদ্ধি পাবে। কারণ সে ক্ষেত্রে প্রতিটি বুথে ১ হাজার জনের বেশি ভোটার রাখা যাবে না। সেই হিসাবে এবারের নির্বাচনে রাজ্যের বুথ সংখ্যা বেড়ে হতে পারে ১ লক্ষ ১০ হাজার।