নিজস্ব সংবাদদাতা- ন্যান্সির ল্যাপটপ চুরি করল ন্যান্সি! এই লাইনটি পড়ার পর যে কারোর মনে হতে পারে ন্যান্সি নামক কেউ তার নিজের ল্যাপটপ চুরি করার অভিনয় করেছেন। কিন্তু আসল ব্যাপারটি হল আমেরিকার সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার তথা ডেমোক্র্যাট নেত্রী ন্যান্সি পেলোসির ল্যাপটপ ও হার্ড ড্রাইভ ক্যাপিটল হাউসে ট্রাম্প পন্থীদের হামলার দিন চুরি গিয়েছিল। সেই চুরির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে এফবিআই গ্রেপ্তার করল ন্যান্সি নামক এক মহিলাকে!
ন্যান্সিকে গ্রেপ্তার করলেও তার কাছ থেকে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকারের চুরি হওয়া ল্যাপটপ, হার্ড ড্রাইভের মতো জিনিসগুলি উদ্ধার করা যায়নি। জানা গিয়েছে এই চুরি করা জিনিসগুলি বিক্রি করতে ব্যর্থ হওয়ার পর ওই মহিলা তা পুড়িয়ে দেয়। উদ্দেশ্য ছিল চুরির তথ্য প্রমাণ লোপাট করা।
তবে এই ঘটনায় যে সমস্ত তথ্য উঠে এসেছে তার আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। জানা গিয়েছে ন্যান্সি নামক ওই মহিলা চুরি করা এই ল্যাপটপ এবং হার্ডড্রাইভ প্রথমে রাশিয়ার হ্যাকারদের হাতে তুলে দেন। তবে ল্যাপটপের সিকিউরিটি ব্যবস্থা অত্যন্ত জটিল হওয়ায় রাশিয়ান হ্যাকাররা খুলতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই তারা ল্যাপটপ এবং হার্ড ড্রাইভ ওই মহিলাকে ফেরত দিয়ে দিয়েছিল। এফবিআইয়ের মতে রাশিয়ান হ্যাকাররা যদি কোনোভাবে এই ল্যাপটপ হ্যাক করতে পারতো তবে তা আমেরিকার পক্ষে অত্যন্ত বিপদজনক হয়ে উঠত।
এই বিষয়ে পুলিশ প্রথমে এক এক যুবককে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকেই ন্যান্সি নামক ওই ট্রাপ পন্থী চোরের সন্ধান পায় এফবিআই। তারপরেই তারা গ্রেপ্তার করে ওই মহিলাকে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে ট্রাম্প পন্থীদের ক্যাপিটল হামলার দিন একটি সবুজ টি-শার্ট পড়ে ন্যান্সি হাউজের স্পিকারের ল্যাপটপ সহ হার্ড ড্রাইভ চুরি করছে। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের এই বিষয়ে তদন্ত করতে কোনো অসুবিধা হয়নি।
ক্যাপিটল হামলার পর ডেমোক্র্যাটদের পাশাপাশি রিপাবলিকানদের একাংশ অভিযোগ তুলেছিল ট্রাম্প পন্থীরা কেবলমাত্র দাঙ্গাবাজ তাই নয়, তারা আমেরিকার নিরাপত্তার পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক। সেই অভিযোগ যে সঠিক ছিল তা প্রমাণ হয়ে গেল ন্যান্সির গ্রেপ্তারের ঘটনায়। সে দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই চুরির ঘটনাটি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আরো বিপাকে ফেলে দেবে। যা তার ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে।