নিজস্ব সংবাদদাতা- আবার চীনা আগ্রাসন। আবারো ভারতের ভূখণ্ড দখলের তথ্য জানতে পারা গেল। অরুণাচল প্রদেশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা টপকে বেশ কয়েক কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে এসে চীন একটি আস্ত গ্রাম বানিয়েছে বলে অভিযোগ। তবে এই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রক বা সরকারের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
অরুণাচল প্রদেশের উত্তর সুবনসিরি জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ৪.৫ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে এসে চীন আর্মি ক্যাম্প সহ প্রায় ১০০ টি বাড়ির একটি গ্রাম তৈরি করেছে বলে অভিযোগ। তাসরি চু নদীর তীর বরাবর এই গ্রামটি গড়ে তোলা হয়েছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করে দেখিয়েছে ২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট ওই অঞ্চলে কোনো জনবসতি ছিল না। অথচ ২০২০ এর ১ নভেম্বরের উপগ্রহ চিত্রে তাসরি চু নদীর পাড় বরাবর একটি আস্ত গ্রামের অস্তিত্ব দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ কমপক্ষে আড়াই মাস আগে ওই অঞ্চলে চীন জনবসতি গড়ে তুললেও ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি!
অরুণাচল প্রদেশের বিজেপি সাংসদ টাপির গাওয়া এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজেজু এর আগে বেশ কয়েকবার অভিযোগ করেন চীনা ফৌজ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডের ভিতর ঢুকে নির্মাণকার্য চালাচ্ছে। সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তারা গোটা বিষয়টি নজর রাখছে বলে জানানো হলেও, সুনির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের কথা এখনো পর্যন্ত জানা যায় নি।
নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ’রা চীনের আগ্রাসন নিয়ে একাধিকবার সরব হলেও তারা কাজের কাজ যে খুব একটা কিছু করেননি তা এই ঘটনায় পরিষ্কার। কারণ তার দলের সাংসদ মন্ত্রীরা বারবার অভিযোগ করার পর কেন্দ্রীয় সরকার যদি সক্রিয় হতো তাহলে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৪.৫ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে একটি আস্ত গ্রাম তৈরি করা চীনের পক্ষে কখনোই সম্ভব হতো না। এমনকি অভিযোগ ওঠার পরও সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “চীন বেশ কয়েক বছর ধরে সীমান্ত অঞ্চলে নানা পরিকাঠামো উন্নয়ন মূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টিতে আমাদের নজর আছে।” সরকার বা বিজেপির পক্ষ থেকে কোনো কিছু জানানো না হলেও বিরোধীরা ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সরব হয়ে উঠেছে। কংগ্রেসের অভিযোগ প্রতিবেশী দেশ ভারতের ভূখণ্ড দখল করে গ্রাম গড়ে তুললেও কেন্দ্রীয় সরকার চুপ। তারা কেবল মুখে বড় বড় কথা বলতে পারে, কাজের কাজ কিছু করে না!