বিশ্ব জোড়া করোনা অতিমারীর জেরে বছর খানেকের বেশি সময় ধরে ভুগছে সাধারণ মানুষ। এই মারণ ভাইরাস যে শুধু মাত্র বহু মানুষের প্রাণ নিয়েছে তাই নয় দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক ছন্দকেও এলোমেলো করে দিয়েছে। কিন্তু সেই অভিশপ্ত ২০২০ কাটিয়ে অবশেষে আমরা পা দিয়েছি একুশে।
নতুন বছরের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনে এসেছে নতুন আশা। ভ্যাকসিনের আশ্বাস পৃথিবীর বুক থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে করোনা আতঙ্ক। নতুন নতুন সম্ভাবনায় ভরে উঠছে আমাদের চারপাশ। সেই আবহেই এবার নতুন বছরে নতুন সাজের ঝলক নিয়ে হাজির হয়েছে নিউটাউন।
কলকাতার মানুষের কাছে নিউটাউন এলাকা “স্মার্ট সিটি” হিসেবেই বহুল প্রচলিত। অত্যাধুনিক সাজসজ্জার জন্য বরাবরই তা নজর কাড়ে মানুষের। শহুরে বিনোদনের আরও এক জমজমাট ব্যবস্থা নিয়ে এবার নিউটাউন এলাকায় গড়ে উঠেছে ‘ফান জোন’ (Fun Zone)।
কী এই ফান জোন? এক কথায় বললে বলতে হয় নিউটাউনের নতুন ফান জোন হল একটি গল্পগুজব বা আড্ডার জায়গা। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে দৃষ্টিনন্দন ভঙ্গিতে সাজিয়ে তোলা হয়েছে ফান জোনকে। শুধু আড্ডাই নয়, সঙ্গে অবধারিত ভাবে রয়েছে পেট পুজোর ব্যবস্থাও।
জানা গেছে, নিউটাউনের অভিনব ফান জোনের ভাবনার নেপথ্যে রয়েছে হিডকো কোম্পানি। নানা মুখরোচক খাবারের ঝুলি নিয়ে ফান জোনে হাজির থাকছে ‘কাফে একান্তে’। নিউটাউনের প্রথম রোটারি লেন এবং নিউটাউন বাসস্ট্যান্ডের সংলগ্ন এলাকায় সেজে উঠেছে এই ফান জোন। ব্যস্ত শহরের মাঝে পথ চলতে চলতে একবারের জন্যে হলেও ফান জোনে চোখ আটকে যাবেই আপনারও।
কৃত্রিম ঘাস দিয়ে গড়ে উঠেছে ফান জোনের জমি। এছাড়া চারপাশে নানা গাছগাছালির শোভা যেন একুশ শতাব্দীর কলকাতার মাঝে নিয়ে এসেছে একমুঠো গ্রাম বাংলার আস্বাদ। আর্টিস্টিক ছোঁয়াকে আরো অনবদ্য করে তোলার জন্য ফান জোনে বসার জন্য রাখা হয়েছে বেতের চেয়ার। এছাড়া, কাঠের বিমের উপর বিভিন্ন রং দিয়ে সাজানো হয়েছে, সেই রঙিন কাঠ পাশাপাশি বসিয়েই তৈরি হয়েছে বেড়া। হিডকোর তরফ থেকে এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্মার্ট ফেন্সিং’।
নিউটাউনের ফান জোনে রাখা হয়েছে ‘এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং সিস্টেম’। অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তির সাহায্যে এলাকার বাতাসের গুণমান সম্পর্কে সদা সচেতন থাকতে পারবেন জনগণ। পরিবেশ দূষণ এড়াতেই এই ভাবনা, জানিয়েছেন হিডকো কর্মকর্তারা। এছাড়া থাকছে অনবরত সিসিটিভি ক্যামেরার পর্যবেক্ষণও। সব মিলিয়ে সপ্তাহান্তে খানিক রিল্যাক্স করতে গোটা শহরে এখন নিউটাউনের এই ফান জোনের জুড়ি মেলা ভার।
[…] […]