নিজস্ব সংবাদদাতাঃ অল্পবয়সীদের ক্রমবর্ধমান ধূমপান সহ তামাকজাত দ্রব্য সেবনের প্রবণতা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তারা অল্পবয়সীদের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য সেবনে রাস টানার পাশাপাশি দেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যেই সিগারেট সহ তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমানোর উদ্দেশ্যে নতুন আইন আনতে চলেছে। নতুন আইনে ধূমপানের সর্বনিম্ন বয়স বাড়িয়ে ১৮ থেকে ২১ করা হয়েছে। অর্থাৎ ২১ বছর বয়স হওয়ার আগে কেউ ধূমপান করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হবে।

নতুন প্রস্তাবিত সিগারেট এন্ড আদার টোবাকো আমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট, ২০২০ এর খসড়া ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক। এই আইনে ২১ বছর বয়সের নিচে কেউ যাতে সিগারেট সহ কোনোরকম তামাকজাত দ্রব্য কিনতে না পারে সেই দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সিগারেট বিক্রেতাদের ক্ষেত্রে আরো কড়াকড়ি করা হয়েছে এই আইনে।

ধূমপান,

সিগারেট সহ তামাকজাত দ্রব্য বিক্রেতারা যদি ২১ বছর বয়সের নিচের কাউকে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করে সেক্ষেত্রে তাদের কড়া শাস্তি পেতে হবে। এমনকি এই আইনের মাধ্যমে সিগারেটের খুচরো বিক্রিও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। কেউ সিগারেট কিনতে চাইলে এবার থেকে সিল করা প্যাকেট কিনতে হবে। কোনো বিক্রেতা যদি খুচরো সিগারেট বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েন সেক্ষেত্রে তার দু বছরের জেল অথবা এক লক্ষ টাকা জরিমানা হবে। দ্বিতীয়বার যদি কোনো বিক্রেতা একই অপরাধে ধরা পড়েন তবে পাঁচ বছরের জেল অথবা পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানার সংস্থান রাখা হয়েছে এই নতুন আইনে।

এই আইনের খসড়ায় জানানো হয়েছে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের দোকান রাখা যাবে না। একই সঙ্গে যেখানে সেখানে ধূমপান করলে জরিমানার অঙ্ক বাড়ানোর প্রস্তাব‌ও দেওয়া হয়েছে এই খসড়া আইনে। বর্তমানে প্রকাশ্য স্থানে ধূমপান করে ধরা পড়লে দুশো টাকা জরিমানা হয়। এই নতুন আইনের জরিমানার অঙ্ক বৃদ্ধি করে দুই হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক মনে করছে নতুন আইনে ধূমপান সংক্রান্ত বিধি আর‌ও কড়াকড়ি করার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ধূমপান করার প্রবনতা অনেকটাই হ্রাস পাবে। বিশেষত অল্পবয়সীরা ধূমপানের ক্ষেত্রে আর খুব একটা আগ্রহী হবে না বলেই তারা মনে করছেন। যদিও এই প্রস্তাব সামনে আসার পরেই নেটিজেনরা হাসি ঠাট্টা করতে শুরু করে দিয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই দাবি করছেন এই আইনের মধ্য দিয়ে কোনো লাভ হবে না যদি না আইন বলবৎ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রশাসন। অন্যদিকে অনেকে এই আইনকে পরোক্ষভাবে পুলিশের পকেটে ভরার হাতিয়ার বলে মন্তব্য করেছেন। যদিও নেটিজেনদের একাংশ সরকারি পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।