কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে লক্ষ লক্ষ কৃষক যখন দিল্লি সীমান্তে দীর্ঘ এক মাসের ওপর অবস্থান-বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তখন কৃষকদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে দেশের বেশিরভাগ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সেই একই ধারা মেনে পশ্চিমবঙ্গে এর আগে বেশ কিছু বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজিত হয়। এই বিক্ষোভ কর্মসূচিগুলিতে অনেক কৃষক ট্রাকটার নিয়ে সামিল পর্যন্ত হয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস এবং বামেদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা যৌথভাবে রাজ্যে কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বিরোধী একাধিক কর্মসূচি পালন করবে। সেই ঘোষণা মতো আজ বনগাঁয় যৌথভাবে কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস।

বেলা ১২ টা নাগাদ বনগাঁর প্রাণকেন্দ্র হীরালাল মূর্তির কাছে জমায়েত করে বাম এবং কংগ্রেস কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তারা যশোর রোড অবরোধ করলে এই ব্যস্ত রাস্তায় যান চলাচল সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে যায়। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলা এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে গরুর গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন বেশ কিছু বিক্ষোভকারী! তারা রাস্তার ওপর গরুর গাড়িগুলি দাঁড় করিয়ে দিয়ে এবং ক্ষেতের ফসল ছড়িয়ে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এই দুই দলের কর্মীরা ছাড়াও আশেপাশের বেশ কিছু সাধারণ মানুষ এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন।



বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন সিপিআই(এম) বিধায়ক পঙ্কজ ঘোষ এবং কংগ্রেস নেতা কৃষ্ণপ্রসাদ চন্দ্র। তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি চলার মাঝেই পথসভা করে বক্তব্য রাখেন। বাম এবং কংগ্রেস নেতারা তাদের বক্তব্যে কৃষি আইনের তীব্র বিরোধিতা করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দেন তারা যদি দ্রুত কৃষি আইন প্রত্যাহার না করে তবে আগামী দিনে আন্দোলন আরও তীব্রতর হয়ে উঠবে।

বিক্ষোভকারীরা দেড়টা নাগাদ অবরোধ প্রত্যাহার করে নিলে যশোর রোডের যানচলাচল আবার শুরু হয়। তবে এই মুহূর্তে সেখানে ব্যাপক যানজট হয়ে আছে। স্থানীয় রাজনৈতিক মহল সূত্রে জানা যাচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে কত রাজনৈতিক দলগুলির তৎপরতা বাড়ছে। এই অবস্থায় কৃষি আইন বিরোধিতাকে হাতিয়ার করে বনগাঁ অঞ্চলে জোট বাঁধতে শুরু করেছে কংগ্রেস এবং বাম কর্মীরা।