কয়েক শতাব্দী ধরে, লেখকরা বিকল্প নাম ব্যবহার করে আসছেন, যা ছদ্মনাম হিসাবে পরিচিত।
লেখকগণের ছদ্মনাম ব্যবহার করতে বেছে নেওয়ার বিভিন্ন কারণ এবং এগুলি সম্পর্কে শেখার জন্য প্রচুর অন্যান্য জিনিস রয়েছে। এই পোস্টে, আপনার কৌতূহল মেটাতে ছদ্মনামগুলি সম্পর্কে আপনার যা জানা দরকার তা আমরা জড়িত করেছি।
ছদ্মনাম কী?
একটি ছদ্মনাম একটি কল্পিত নাম যা কোনও লেখক তাদের আসল নামের জায়গায় রেখেছেন। ছদ্মনামের ইংরেজি প্রতিশব্দ “pseudonym” শব্দটি একটি গ্রীক শব্দ যার আক্ষরিক অর্থ “মিথ্যা নাম”।
কেন লেখক ছদ্মনাম ব্যবহার করেন?
- লেখক কেন ছদ্মনাম ব্যবহার করতে পারেন তার অনেক কারণ রয়েছে। একজন মহিলা লেখকের প্রকাশিত হওয়ার আরও বেশি সম্ভাবনা থাকতে পারে যদি তাকে পুরুষ বলে মনে করা হয়। এটি বিগত শতাব্দীতে প্রায়শই করা হত, যখন মহিলারা একেবারেই বাইরে প্রকাশিত হতেন না।
- পুরুষ লেখকরা লেখা জমা দেওয়ার সময় মহিলা বা লিঙ্গ-নিরপেক্ষ ছদ্মনামগুলি বেছে নেন, এমন একটি ঘরানা যা গত শতকে মহিলা-প্রভাবিত হয়ে উঠেছে। যেমন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভানুসিংহ ঠাকুর ছদ্মনাম ছাড়াও আন্নাকালী পাকড়াশী, শ্রীমতি কনিষ্ঠা, শ্রীমতি মধ্যমা প্রভৃতি ছদ্মনামে লিখেছেন। আবার কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় অনেক লেখা তাঁর দিদি অনিলা দেবীর ছদ্মনামে লিখতেন। মহাশ্বেতা দেবী লিখেছেন সুমিত্রা দেবী ছদ্মনামে, কামিনী রায় লিখেছেন জনৈক বঙ্গমহিলা নাম নিয়ে।
- কিছু লেখক তার পক্ষে সবচেয়ে বেশি পরিচিত তার চেয়ে আলাদা জেনারে লিখতে একটি ছদ্মনাম বেছে নেন। যেমন সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর প্রবন্ধগুলি কমলাকান্ত ছদ্মনামে লিখেছেন, সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর আত্মজৈবনিক রচনাগুলি নীললোহিত ছদ্মনামে লিখেছেন; সমরেশ বসু উপন্যাস লিখতেন কালকূট নামে, রাজশেখর বসু পরশুরাম নাম নিয়ে তাঁর হাস্যরসাত্মক গল্পগুলি লিখতেন।
- লেখকগণের ছদ্মনামের অধীনে প্রকাশ করা বেছে নেওয়ার আরেকটি কারণ হল বিতর্কিত বা অপ্রিয় রাজনৈতিক অবস্থান প্রকাশের সময় প্রতিক্রিয়া এড়ানো। যেমন রাজা রামমোহন রায় তাঁর সতীদাহ নিবারণের পক্ষে লেখা প্রবন্ধগুলি শিবপ্রসাদ দাস ও রামচন্দ্র দাস নামে লিখেছিলেন; ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবা বিবাহের সমর্থনে লেখালিখিতে কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য এবং কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপো সহচরস্য ছদ্মনাম নেন। নীলদর্পণের লেখক দীনবন্ধু মিত্র সি. এফ. এন্ড্রু ছদ্মনামে লেখা প্রকাশ করেছেন।
- যদি কোনও লেখক অন্তর্নিহিত এমন কিছু লিখছেন যা তাদের ব্যক্তিগত জীবনে তাদের বিব্রতকর কারণ হতে পারে তবে তারা তাদের পরিচয় গোপন করতে চান।
- লেখকরা ছদ্মনামটি বেছে নেওয়ার জন্য তাদের পরিচিতিটিও রেখেছেন যাতে তারা তাদের কাজের উপর পরিবারের নাম না রাখেন। কবি পাবলো নেরুদা (রিকার্ডো এলিয়সর নেফতাল্ল রেয়েস বসোয়াল্টো) একবার বলেছিলেন যে তিনি ছদ্মনামটি ব্যবহার করেছেন কারণ “এটি আমার পিতাকে খুব বিরক্ত করেছিল যা আমি লিখতে চেয়েছিলাম। সর্বোত্তম উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি ভেবেছিলেন যে লেখাই পরিবার এবং আমার জন্য ধ্বংস আনবে। এবং, বিশেষত, এটি আমাকে সম্পূর্ণ অকেজো জীবনযাত্রায় নিয়ে যাবে।”
- লেখকদের যদি কোনও প্রদত্ত নাম অন্য বিখ্যাত লেখক, অভিনেতা বা সেলিব্রিটির মতো একই থাকে তবে কোনও ছদ্মনামও ব্যবহার করতে পারেন।
বিখ্যাত ছদ্মনামের আড়ালে থাকা কয়েকজন বাঙালি সাহিত্যিক:
1) কমলাকান্ত
কমলাকান্ত ওরফে সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (২৬ জুন ১৮৩৮ – ৮ এপ্রিল ১৮৯৪) ছিলেন উনিশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি ঔপন্যাসিক। বাংলা গদ্য ও উপন্যাসের বিকাশে তার অসীম অবদানের জন্যে তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করেছেন। তাকে সাধারণত প্রথম আধুনিক বাংলা ঔপন্যাসিক হিসেবে গণ্য করা হয়। জীবিকাসূত্রে ব্রিটিশ রাজের কর্মকর্তা ছিলেন। বাংলা সাহিত্যপত্র বঙ্গদর্শনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন বঙ্কিম। তিনি ছদ্মনাম হিসেবে কমলাকান্ত নামটি বেছে নিয়েছিলেন। তাকে বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয়।
প্রীতি সংসারে সর্ব্বব্যাপিনী—ঈশ্বরই প্রীতি। প্রীতিই আমার কর্ণে এক্ষণকার সংসারসংগীত। অনন্ত কাল সেই মহাসঙ্গীত সহিত মনুষ্য-হৃদয়-তন্ত্রী বাজিতে থাকুক। মনুষ্যজাতির উপর যদি আমার প্রীতি থাকে, তবে আমি অন্য সুখ চাই না। – শ্রীকমলাকান্ত চক্রবর্ত্তী।
2) হুতোম প্যাঁচা
হুতোম প্যাঁচা ওরফে কালীপ্রসন্ন সিংহ (২৩ ফেব্রুয়ারি ১৮৪০ – ২৪ জুলাই ১৮৭০) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক ও সমাজসেবক। বাংলা সাহিত্যে তার দুই অমর অবদানসমূহের জন্য চিরস্মরনীয় হয়ে আছেন – সেগুলো হল, বৃহত্তম মহাকাব্য মহাভারতের বাংলা অনুবাদ এবং তার বই হুতোম প্যাঁচার নক্শা। তিনি উনিশ শতকের একজন বাংলা-সাহিত্য আন্দোলনে অন্যতম একজন পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। মাত্র উনত্রিশ বছরের জীবনে তিনি সাহিত্য ও সমাজের উন্নয়নের জন্য অসংখ্য কাজ করেছেন।
3) শ্রীম
শ্রীম ওরফে মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত (জন্ম: ১৪ জুলাই ১৮৫৪ – মৃত্যু: ৪ জুন ১৯৩২) একজন জীবনীকার। তার জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত রচনা। ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত শ্রীরামকৃষ্ণদেবের জীবনের শেষ চার বছরে পঞ্চাশটির মত দেখা সাক্ষাতের নিপুন বিবরণ তিনি যত্নসহকারে তার ডায়েরিতে লিখে রেখেছিলেন। যা পরে বই আকারে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত নামে প্রকাশিত হয়ে অসাধারণ খ্যাতি এবং জনপ্রিয়তা লাভ করে।
4) ভানুসিংহ ঠাকুর
ভানুসিংহ ঠাকুর ওরফে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১ – ১৯৪১) কৈশোর ও প্রথম যৌবনে “ভানুসিংহ ঠাকুর” ছদ্মনামে বৈষ্ণব কবিদের অনুকরণে কিছু পদ রচনা করেছিলেন। ১৮৮৪ সালে সেই কবিতাগুলিই ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী নামে প্রকাশিত হয়। কবিতাগুলি গ্রন্থাকারে প্রকাশের পূর্বে বিভিন্ন সময়ে ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। কবিতাগুলি রচনার ইতিহাস পরবর্তীকালে জীবনস্মৃতি গ্রন্থের ভানুসিংহের কবিতা অধ্যায় বিবৃত করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
5) পরশুরাম
পরশুরাম ওরফে রাজশেখর বসু (মার্চ ১৬, ১৮৮০ – এপ্রিল ২৭, ১৯৬০) ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক, অনুবাদক, রসায়নবিদ ও অভিধান প্রণেতা। তিনি পরশুরাম ছদ্মনামে তার ব্যঙ্গকৌতুক ও বিদ্রুপাত্মক কথাসাহিত্যের জন্য প্রসিদ্ধ। গল্পরচনা ছাড়াও স্বনামে প্রকাশিত কালিদাসের মেঘদূত, বাল্মীকি রামায়ণ (সারানুবাদ), কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাসকৃত মহাভারত (সারানুবাদ), শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ইত্যাদি ধ্রুপদি ভারতীয় সাহিত্যের অনুবাদগ্রন্থগুলিও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। চলন্তিকা অভিধান প্রণয়নের জন্য তিনি সর্বাধিক পরিচিতি। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে রবীন্দ্র পুরস্কারে ও ভারত সরকার পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করে। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেছিলেন।
6) জরাসন্ধ
জরাসন্ধ ওরফে চারুচন্দ্র চক্রবর্তী (জন্ম: ২৩ মার্চ, ১৯০২ – মৃত্যু: ২৫ মে, ১৯৮১) একজন বাঙালি সাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক। তিনি জরাসন্ধ ছদ্মনামেই অধিক পরিচিত। ব্রিটিশ ভারতবর্ষের পূর্ব বাংলার ফরিদপুর জেলার বর্তমানে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণডাঙ্গায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ১ লা মে ‘লৌহকপাট’ এর প্রথম পর্ব গ্রন্থের আকারে প্রকাশিত হয়। এরপর একে একে মোট চারটি পর্বে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর কুড়ি একুশ খানি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে তাঁর উপন্যাস ‘তামসী’ অবলম্বনে হিন্দিতে ‘বন্দিনী’ নামে চলচ্চিত্রায়িত করেন প্রখ্যাত বাঙালি চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক বিমল রায় এবং সেরা সম্মান লাভ করে।
7) বনফুল
বনফুল ওরফে বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় (জন্ম: ১৯ জুলাই ১৮৯৯ – মৃত্যু: ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯) একজন বাঙালি কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও কবি। তিনি বনফুল ছদ্মনামেই অধিক পরিচিত। লেখক হিসেবে বনফুল হাজারেরও বেশি কবিতা, ৫৮৬টি ছোট গল্প, ৬০টি উপন্যাস, ৫টি নাটক, জীবনী ছাড়াও অসংখ্য প্রবন্ধ রচনা করেছেন। তার রচনাবলীসমগ্র ২২ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।
8) অবধূত
অবধূত (১৯১০ – ১৩ এপ্রিল, ১৯৭৮) বা কালিকানন্দ অবধূত ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক ও তন্ত্রসাধক। তার প্রকৃতনাম দুলালচন্দ্র মুখোপাধ্যায়; জন্ম কলকাতার ভবানীপুরে। পুত্র অমল মুখোপাধ্যায়ের জন্মের পর প্রথমা স্ত্রীর মৃত্যু হলে উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে সন্ন্যাস (অবধূত) গ্রহণ করেন। সন্ন্যাসজীবনে তাঁর নাম হয় কালিকানন্দ অবধূত। অবধূত ছদ্মনামে তিনি একাধিক গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। ১৯৫৪ সালে মরুতীর্থ হিংলাজ নামক উপন্যাস রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন। এই উপন্যাসটি অবলম্বনে একই নামে একটি জনপ্রিয় চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়।
9) কালকূট
কালকূট ওরফে সমরেশ বসু (১৯২৪-১৯৮৮) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি লেখক। তার রচনায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, শ্রমজীবী মানুষের জীবন এবং যৌনতাসহ বিভিন্ন অভিজ্ঞতার সুনিপুণ বর্ণনা ফুটে উঠেছে। ১৯৮০ সালে তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। কালকূট নাম ধারণ করে হৃদয়ের তীব্র বিষকে সরিয়ে রেখে অমৃত মন্থন করেছেন উপন্যাসের মধ্য দিয়ে৷ অমৃত বিষের পাত্রে, মন মেরামতের আশায়, হারায়ে সেই মানুষে, তুষার শৃঙ্গের পদতলে ইত্যাদি এই ধারার উপন্যাস।
10) শ্রীপান্থ
শ্রীপান্থ ওরফে নিখিল সরকার (১ মে,১৯৩২ — ১৭ আগস্ট, ২০০৪) একজন বাঙালি সাহিত্যিক, সম্পাদক ও সাংবাদিক। তিনি “শ্রীপান্থ” ছদ্মনামেই অধিক পরিচিত ছিলেন। তাঁর চর্চার বিষয় ছিল বাংলার সামাজিক ইতিহাস, কলকাতার সমাজ ও সংস্কৃতি। কলকাতার শিল্পী সংস্কৃতি বিষয়ে তাঁর বেশি কিছু প্রবন্ধ ইংরেজিতেও প্রকাশিত হয়েছে। বাংলা মুলুকে প্রথম ধাতব হরফে ছাপা বই হালেডের ‘আ গ্রামার অব দ্য বেঙ্গল ল্যাঙ্গোয়েজ’-এর দীর্ঘ ভূমিকা তার মধ্যে অন্যতম। ১৯৭৮ সালে আনন্দ পুরস্কার পান নিখিল সরকার।
11) শংকর
শংকর ওরফে মণিশংকর মুখোপাধ্যায় ( জন্ম: ৭ ডিসেম্বর ১৯৩৩) একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। তাঁর প্রথম বই প্রকাশিত হয় ১৯৫৫ সালে। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল চৌরঙ্গী, সীমাবদ্ধ এবং জন অরণ্য। এই তিনটি বই নিয়ে চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে। ২০১৬ সালে তিনি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট সম্মানে ভূষিত হন।
12) পুরন্দর ভাট
বড়লোকের গাড়ির টায়ার
ফুটো করে লাগাও ফায়ার
নজরটুকু রাখবে যেন
আঁচটুকু না লাগে আয়া-র।
পুরন্দর ভাট ওরফে নবারুণ ভট্টাচার্য (২৩ জুন ১৯৪৮ – ৩১ জুলাই ২০১৪) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি কবি ও কথাসাহিত্যিক। তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৯৭) ও বঙ্কিম পুরস্কার (১৯৯৬) গ্রহণ করেছেন। হারবার্ট, কাঙ্গাল মালসাট ইত্যাদি তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস। তিনি লেখিকা মহাশ্বেতা দেবী এবং নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্যের পুত্র।