নিজস্ব সংবাদদাতা- বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষক সংগঠনগুলি মাসখানেকের ওপর ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে আসছে। দুদিন আগেই সর্বোচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে কৃষি আইনের ওপর সাময়িকভাবে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ একটি চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন। এরপরই বিভিন্ন সূত্র থেকে আন্দোলনরত কৃষকদেরকে এক ঘরে করে দেওয়ার প্রচেষ্টা শুরু হয়। হেমা মালিনীর প্রথম কৃষকদের ব্যঙ্গ করেন। এরপর গতকাল রাতে কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান।

সর্বোচ্চ আদালত বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করলেও কৃষকরা সেই কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন। তাদের অভিযোগ কমিটিতে যে চারজনকে রাখা হয়েছে তারা সকলেই কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের পক্ষে। এক্ষেত্রে কমিটি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষেই মতামত পোষণ করবে। স্বভাবতই কৃষকরা কমিটি গঠন সত্বেও আন্দোলন প্রত্যাহার করেনি। উল্টে তারা জানিয়ে দিয়েছে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে তারা অনড় থাকছে।

আন্দোলনরত কৃষকদের এই সিদ্ধান্ত জানার পর বলিউড ড্রিম গার্ল তথা বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী দাবি করেন, “আন্দোলনরত কৃষকরা জানে না তারা আসলে কি চায়।” এরপর গতকাল রাতে কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মনন কুমার মিশ্র। তার দাবি, “দেশের সবাই জানেন ৯০ শতাংশ কৃষক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বিপক্ষে। সর্বোচ্চ আদালতের কমিটি তৈরি করে দেওয়ার পর শান্তিকামী এই কৃষকরা আন্দোলন তুলে নেওয়ার পক্ষে থাকলেও, ১০ শতাংশ কৃষক কিছু রাজনৈতিক নেতার ইন্ধনে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।”

আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিষান সংঘর্ষ কমিটি এই মন্তব্যগুলিকেই হাতিয়ার করে জানিয়েছে, “কেন্দ্রীয় সরকার সহ বিভিন্ন পক্ষের যা মনোভাব তাতে আমরা একবার যদি আন্দোলন প্রত্যাহার করি তবে দেশের প্রতিটা কৃষকের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় সরকার এই আইন বলবৎ রেখে দিয়ে দিয়ে দেশের কৃষি ব্যবস্থাকে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেবে।”

প্রসঙ্গত গতকাল লাহরি উপলক্ষে আন্দোলনরত কৃষকরা দিল্লির সিঙ্গু সীমান্তে বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের কপি পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানায়।