৮৪ তে পা দিলেন ক্যাথলিক চার্চের বর্তমান পোপ, পোপ ফ্রান্সিস । জন্ম বলতে ১৯৩৬ সালের ১লা ডিসেম্বর আর্জেন্তিনার বুয়েন্স আইরেসে পোপ ফ্রান্সিস এর জন্ম হয়। পোপের আসল নাম হলো জর্জি মারিও বর্গোগ্লিও । পোপ হিসাবে নির্বাচন হওয়া কিংবা আন্তর্জাতিক ভ্রমণ যাত্রায় যাওয়া র বেপার হোক সমস্ত ব্যাপারে যে আধুনিকতায় এগিয়ে পোপ ফ্রান্সিস সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই । ২০১৩ সালের ১৩ ই মার্চ বর্গোগলিও পোপ হিসাবে সম্মনপদ লাভ করেন । আমেরিকার থেকে প্রথম বার কেউ পোপ হিসাবে যুক্ত হন সেবারে ।
এই নিয়ে বারগোগলিও হলেন ২৬৬ তম ক্যাথলিক চার্চ এর পোপ ।নির্বাচনের পরে তিনি রোমের বিশপ হিসাবে বিশ্বব্যাপী ক্যাথলিক চার্চ এর এবং সার্বিক ভ্যাটিকান সিটি এর প্রদান এর পদ ভার সামলে চলছেন আজও ।
তার শিক্ষাজীবনের ইতিহাস বেশ উল্লেখযোগ্য তাতে সন্দেহ নেই । তিনি পোপ পদে নিযুক্ত হবার আগে তিনি একজন রসায়ন বিদ এবং ল্যাবরেটরি এর ফুড টেকনিশিয়ান এর কাজ করতেন । অর্থাৎ ব্যক্তিগত জিবনে তিনি যে যথেষ্ট সেই ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন ওঠেনা ।
এরপর কিছুকাল ধরে তিনি প্রবল শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং ফলস্বরূপ ভগবান এর সংস্পর্শে আসবার সৌভাগ্য হয় তার । শরীর খারাপ থেকে সুস্থ্য হলে ওঠবার পর তিনি যীশু তথা খ্রিস্টিয় ধর্ম নিয়ে অধিকতর জ্ঞানচর্চা শুরু করে দিলেন ।
পরবর্তী কালে ১৯৫৮ সালে তিনি ” Unity of jesus ” এ যোগ দেন । ১৯৬৯ সালে তিনি একজন ক্যাথলিক সন্যাসী হিসাবে সন্মান লাভ করেন । ১৯৭৩-৭৯ অবধি আর্জেন্টিনার প্রভিনসিয়াল সুপিরিয়র এর ভূমিকা পালন করেন ।এরপর ১৯৯৮ এ তিনি আর্কবিশপ হন। এর পর ২০০১ সাল থেকে আর্জেন্টিনা চার্চ এর প্রধান প্রদর্শক হিসাবে তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করে গেছেন এবং সবশেষে ২০১৩ সালের ১৩ ই মার্চ এ বারগোগ্লিও পোপ হিসাবে নির্বাচন হন ও তিনি ফ্রান্সিস নাম টি নিজের পেপাল নাম হিসাবে বেঁচে নেন । পোপ ফ্রান্সিস তার উদর্ময়তা , দরিদ্রদের প্রতি ভালোবাসা এবং ধর্ম নির্বিশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য । অন্যান্য তথা পূর্ববর্তী পোপ দের থেকে তার আলাদা হবার উদহারন এর কমতি নেই । তার আন্তর্জাতিক দৃষ্টি ভঙ্গি যথেষ্ট সুদূর প্রসারী ।
তিনি নিজেকে এতটাই অন্য পোপদের থেকে আলাদা করে দিয়েছিলেন যেখানে অন্য পোপেরা পোপেদের বাসস্থান হিসাবে পোপ প্রাসাদ এ থাকতো সেখানে পোপ ফ্রান্সিস ” ডমাস সেঁকটি মার্থি ” গেস্ট হাউস এ বসবাস করেন ।
সমালোচনায় যখন পোপ :-
নান দের যৌনদাসী বানিয়ে তাদের উপর যাজক রা তুমুল অত্যাচার করতেন সেই ব্যাপারে পোপ ফ্রান্সিস এই অপরাধ কে কম করার প্রস্তাব দেন ।২০১৩ সালে কাথলিক পত্রিকা র কাছে ফ্রান্সিস এই কথা স্বীকার করে নেন যে সত্যি সত্যিই ধর্মীয় নান র বিভিন্ন যাজক দের দ্বারা যৌণ নিপীড়িত হয়ে চলেছেন ।
ধর্ষনের নানান অভিযোগ সামনে উঠে এসচে বলে জানা যায় । যা থেকে গির্জা কে পাপ মুক্ত করার উদ্দেশ্যে পোপ যথাসাধ্য দিয়ে নিজের চেষ্টা করবেন বলে তিনি জানিয়েছিলেন ।
সমকামিতার সপক্ষে যখন পোপ :-
এরপর ভ্যাটিকান শহরে সমকামী বিবাহ কে পোপ সমর্থন জানান । গির্জার এমন প্রগতিশীল মনোভাব যে খুব ই ভাল খবর তা বলার্বপেখ্য রাখেনা ।যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাস্তব এর প্রতি গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রসঙ্গতিপূর্ণ ।
এতদিন যেই সমকামিতা কে অপ্রাকৃতিক আখ্যা দিয়ে চলছিল সেই চার্চে ই পোপ ফ্রান্সিস আসবার পর সমকামিতা র ব্যাপারে সমর্থন জানানো হয় । পোপ এটাও জানান সন্তান সমকামী হলে তাকে দূরে সরিয়ে না দিয়ে তার দেখা শোনা করা একজন নিষ্ঠাবান কাথলীক এর নিদর্শন শুধু ই প্রচুর সন্তান এর জন্ম দিলেই কথলিক হওয়া যায় না।
পোপের আন্তর্জাতিক ভ্রমণ :-
পোপের ব্যক্তিগত জীবনের বাইরে তার বিশ্ব ভ্রমণের গল্পঃ যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য । আন্তর্জাতিক ভ্রমণ স্তরে ইতালি , ব্লইভিয়া ,সাউথ কোরিয়া ,ইউনাইটেড স্টেটস ,বাংলাদেশ ,শ্রী লঙ্কা সহ অসংখ্য দেশ এখনও অবধি পোপ ভ্রমণ করে ফেলেছেন ।
বিভিন্ন দেশে গিয়ে নিজের আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি সমাজের কাছে তুলে ধরে ধর্ম – বর্ণ নির্বিশেষে তার মতামত প্রকাশ করা সেখানকার মানুষদের যথেষ্ট আকর্ষিত করে । তথ্যসূত্র তার ভবিষ্যত ভ্রমণের ব্যাপারে কিছু সূত্র জানা গেছে যে তিনি ২০২১ ইরাক এবং ২০২৩ e পর্তুগাল ভ্রমণ করবেন।
পোপ এর এই ধরনের চিন্তাভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি , তাকে পূর্ববর্তী অন্যান্য পোপ দের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে আমাদের সামনে তুলে ধরে । এবং উন্নত চিনভাবনা শিল এক উদার মানুষ হিসাবে বর্তমান ভ্যাটিকান সিটি এর পোপ ফ্রান্সিস দেখতে দেখতে ৮৪ তে পা দিয়ে দিলেন আজ যা সত্যিই অভাবনীয় ।
ভারতের আর্থিক ল্যান্ডস্কেপের বিস্তীর্ণ বিস্তৃতিতে, একটি নাম ব্যক্তি এবং ব্যবসার সাথে সমানভাবে অনুরণিত হয় যা মজবুত আর্থিক সমাধান খুঁজছে: ফেয়ার ফাইন্যান্স। এর প্রতিষ্ঠাতা দীনেশ...
আপনি কি আর্থিক ডোমেনে আছেন এবং এমন একটি অংশীদারিত্ব চাইছেন যা বৃদ্ধির জন্য প্রচুর সুবিধা এবং সম্ভাবনা সরবরাহ করে? ফেয়ার ফিনান্স আপনাকে সরাসরি বিক্রয়...