৫ টি ভয়ানক পোকার তথ্য! যা দেখে আপনি অস্বস্তিতে পড়বেন।
পৃথিবীতে আমরা এমন অনেক প্রাণী দের কথাই জানি না এবং যাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারনা নেই।
পশু, পাখি ইত্যাদির মতোই আমাদের সাথে প্রকৃতিতে বেড়ে ওঠা এমনই এক শ্রেনী হলো, পোকা।
বিভিন্ন প্রজাতির, বিভিন্ন ধরনের পোকা পৃথিবীতে বসবাস করে যাদের বৈশিষ্ট্য আমাদের জানা নেই।
তাদের মধ্যে কিছু প্রজাতির পোকা এমন থাকে, যারা ভীষণ ভয়ানক হয় অর্থাৎ যাদের থেকে কোনও প্রকার রোগ বা ক্ষতি হতে পারে অন্যান্য প্রাণীদের।
তাই আজ আপনাদের পরিচয় করানো এমন কিছু পোকা দের সাথে যাদের সম্বন্ধে আপনি আগে কখনও শোনেনি।
১) ফ্লিস পোকা :-
এই প্রজাতি গুলো এমন এক ধরনের পোকা যারা সাধারণত রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে।
আকারে ছোটো এই জীবটির প্লেগ এর মতো ভয়ানক রোগ ছড়ানোর ক্ষমতা রাখে। যার কারণে ১৪ শতকে শুধু ইউরোপে প্রায় ২৪ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিল।
এই পোকাটি সারাজীবন এক প্রাণী থেকে অন্য প্রাণীর দেহে সাধারণ করেই কাটায় এবং স্বাভাবিক ভাবেই সে তার সাথে বিভিন্ন রোগের জীবাণু বহন করে।
এই জীবগুলির পছন্দের পরোজীবি প্রাণীর মধ্যে কুকুর, বিড়াল এমনকি মানুষও রয়েছে। সেই সব প্রাণীর দেহে রক্ত খেয়ে সেখানে হাজার হাজার ডিম ছড়িয়ে আসে, যা এক মাস টাইম পিরিয়ডের মধ্যেই কয়েক লক্ষ্য হয়ে যায়।
এই পোকা থেকে বাঁচার জন্য বাড়ির পোষ্যদের সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার।
২) রিবন ওর্মস:-
আজব দেখতে এই পোকাটি নিজের শরীর থেকে মাকড়সার জালের মতো এক প্রকার পদার্থ ছড়ায়।
হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। এই ধরনের জীবটি কোনো বিপদের আশঙ্কা পেলে, তার সামনে থাকা প্রাণীর দেহের ওপর এই পদার্থ বের করে তার মধ্যে বিষ ছড়িয়ে দেয়। এবং আস্তে আস্তে সেই প্রাণীটি মারা যায়।
৩) বট ফ্লাই:-
এই ধরনের পোকাগুলি সাধারণত মৌমাছি শ্রেনীর। তবে এই প্রজাতির মৌমাছি সাধারণ মৌমাছির চেয়ে অনেক আলাদা।
এদের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হলো এদের ডিম দেওয়ার পদ্ধতি। কারণ তারা ডিম পাড়ার জন্য অন্য কিছু নয়, মানুষের শরীরকে বেছে নেয়।
যদি এই পোকা কারোর শরীরে বসে পড়ে তাহলে তৎক্ষণাত সেই অংশে অনেক গুলি ডিম ছেড়ে দেয়।
আর সেই ডিম থেকে তৈরি হওয়া লার্ভা ত্বক থেকে শরীরের ভেতরে চলে যায়। এবং ভিতর থেকে ধীরে ধীরে খেতে শুরু করে।
যার ফলে সে জায়গায় ভীষণ জ্বালা ও ব্যথা শুরু হয়। এবং চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
৪) জায়েন্ট ওয়াটার বাগ:-
আকারে ছোট এই পোকা বাইরে দেখতে ছোট হলেও এর প্রভাব এতটাই বেশি যে একটা ছোট মাছ থেকে শুরু করে বিষধর সাপকে মারার দক্ষতা রাখে।
সাধারণত এই জীবটি জলে থাকে। এর সামনে যেই আসে, তাকে এর শিকার বানিয়ে নেয়। এরা দেখতে কিছুটা তেলাপোকা-এর মতো; তবে এদের তেলাপোকা ভাবার ভুল না করাই ভালো।
এদের দেখতে যেমন ভয়ানক তেমন এদের কামড় কোনো জায়গায় পড়লে সেখানে মারাত্মক অ্যালার্জি হয়।
এরা এদের ডিম নিজের পিঠে ততক্ষণ পর্যন্ত রাখে যতক্ষণ না ডিম থেকে বাচ্চা বের হয়। এদের এই রূপের জন্য অনেকেরই এদের জঘন্য লাগে।
৫) কিলার বি :-
এই পোকার নাম শুনেই অনুমান করা যায় সে কতটা ভয়ানক। এরা সাধারণত মৌমাছির এক প্রজাতি।
এমনিতে তো এদের দেখতে একজন হানি বই এর মতো হয় তবে সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হলো এদের টেমপরমেন্ট।
এরা ভীষণ রাগী স্বভাবের হয়। এদের সামনে কেউ আসলে এরা তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
এদের পায়ে বিশেষ রকমের বিষ থাকে তা যে কোনও মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে।
যখন এরা দলগত ভাবে হামলা করে তখন তারা সবচেয়ে ভয়ংকর হয়। প্রায় ৮০,০০০ হাজার মৌমাছি নিয়ে এদের এক একটি দল হয়।
তাহলে আশা করি বুঝতেই পারছেন পৃথিবীর বুকে কত রকমের কীট পতঙ্গ পোকা ও অন্যান্য ছোটো ছোটো প্রাণী বসবাস করে এবং দ্রুত গতিতে নিজেদের বংশ বিস্তার করে যে তাদের প্রভাব অন্যান্য প্রাণীর ওপর মোটেও ছোট কিছু নয়। এদের থেকে দূরে যত বেশি থাকা যায় ততই মঙ্গল। কারণ হতে পারে আপনার কৌতুহল অথবা অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য তাদের ধরতে যাওয়া বা তাদের কাছে যাওয়া আপনার জীবনে শেষ ভুল হিসাবে প্রমাণিত হলো।
আজ এখানেই শেষ করব। আরো নানা রকম পৃথিবীর আশ্চর্য তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। ধন্যবাদ।