৫ টি অদ্ভুত প্রজাতির পাখির কথা জানুন! যা দেখার সৌভাগ্য সবার হয়না।
আমরা অনেকেই এমন আছি যাদের পাখিদের প্রতি ভালোবাসা একটু অন্যরকম। পাখি পোষা হোক বা জঙ্গলের, তাদের সৌন্দর্যের প্রতি আকর্ষন বরাবরই রয়েছে পাখি প্রেমী দের।
আমরা প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের পাখির কথা পড়ি, ছবি দেখি, বা নিজের চোখে দেখি বিভিন্ন চিড়িয়াখানায়।
কিন্ত পৃথিবীতে এত বিভিন্ন রকমের প্রজাতির পাখি আছে যাদের কথা আমরা কোনদিন শুনিনি বা তাদের দেখার জন্য রীতিমত সৌভাগ্যের প্রয়োজন।
আপনি কি কখনও গোঁফ ওয়াল পাখির কথা শুনেছেন? কিংবা যেই পাখিটি এতটাই দেখতে কিউট যে তাকে সবসময় আদর করতে ইচ্ছে করবে?
তাই চলুন আজ পড়ে নেওয়া যাক এমন কিছু বিরল প্রজাতির পাখিদের কথা। যারা এই পৃথিবীতে নিজেদের আলাদাই আধিপত্য নিয়ে বিরাজ করছে।
১) টেমিঙ্কস ট্র্যাগোপান:-
এই পাখিটি পৃথিবীর বিরল প্রজাতির পাখিদের মধ্যে অন্যতম। এদের সবথেকে আকর্ষণীয় ব্যাপার হলো এদের গায়ের রঙ।
সাধারনত কমলা ও লাল রঙের হয় এদের শরীর। গায়ে ছোপ ছোপ দাগ থাকার জন্য তাদের আরও বেশি সুন্দর লাগে।
আর এদের মুখের নীচের কিছুটা অংশ নীল রঙের হয় আর সেটাই তার আসল সৌন্দর্য। এই অংশ টি সাধারণত পাতলা হয় এবং পুরুষ প্রজাতির ওপর দেখা যায়।
যখন এই পাখিটি কোনো মহিলা পাখিদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করে তখন এই অংশটিকে সে আরও প্রসারিত করে। তখন তাদের দেখতে আরও সুন্দর দেখতে লাগে।
এই পাখিটি উত্তর পূর্ব ভারতীয়, মধ্য চীন, ও মায়ানমারের জঙ্গলে দেখা যায়। এদের উচ্চতা প্রায় ৬৪ সেন্টিমিটার হয় আর এরা পুরোপুরি ভাবে নিরামিষ খায়।
২) ইনকা টার্ন:-
এই পাখিটির বিশেষত্ব হলো এর অন্যরকম রূপ। এদের সারা গায়ের রঙ ধূসর হয়। শুধু মুখ ও পা লাল এবং কমলা মিশ্রিত রঙ হয়।
এদের বিশেষত্ব হলো এদের মুখে সাদা রঙের একটা গোঁফ থাকে। হ্যাঁ গোফ। যার জন্য এদের বাকি পাখিদের প্রজাতির চেয়ে অনেক আলাদা।
এই গোঁফ সাধারনত পুরুষ প্রজাতির পাখিদের দেখা যায়।
৩) নরদার্ন কার্ডিনাল:-
এই পাখিটি একেবারে “Angry bird” কার্টুনের মতো। এদের গায়ের রঙ হয় সম্পূর্ণ লাল।
এরা আকারে অনেক ছোটো হয়। আর এদের বিশেষত্ব হলো এদের সুন্দর কন্ঠস্বর।
পুরুষ ও মহিলা দুই প্রজাতির পাখিরাই খুব সুন্দর কন্ঠস্বর প্রয়োগ করে। তবে এরা এক এক সময় এক এক রকম কন্ঠস্বর ব্যবহার করে।
যেমন খাবারের সন্ধান পেলে, কোনো শিকারীকে দেখলে এরা আলাদা আলাদা কন্ঠস্বর প্রয়োগ করে।
এই পাখিটি মূলত ক্যালিফোর্নিয়া, হাওয়াই, ও পারকুন্ডা দ্বীপ ও জঙ্গলে পাওয়া যায়।
৪) রোজ ব্রেস্টেড কাকাতুয়া:-
এই বিরল প্রজাতির সুন্দর পাখিটি “Pink parrot” নামেও পরিচিত।
এই পাখির বিশেষত্ব হলো এর সুন্দর রূপ। সাধারণত যেই সব পাখির মাথায় ঝোটন থাকে, তাদের কাকাতুয়া বলে।
এই পাখিটিও কাকাতুয়া শ্রেনী অন্য এক প্রজাতির পাখি। যার গোটা দেহ গোলাপি রঙের হয়, মাথায় ঝোটন সাদা রঙের এবং ডানা সাদা ও ধূসর রঙের হয়।
এদের দেখতে এতটাই সুন্দর যে বহু মানুষ এদের বাড়িতে এনে রাখতে চায়। সাধারণত অস্ট্রেলিয়ার জঙ্গলে এই প্রজাতির পাখি দেখা যায়।
এদের দাম ৫০,০০০ হাজার থেকে ২,৫০,০০০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
৫) আমব্রেলা বার্ড (পাখি):-
এই পাখিটি আমার তালিকায় সবথেকে অন্যরকম প্রজাতির।
এদের বিশেষত্ব হলো এই ধরনের পাখি অনেক বড়ো হয় আর এদের নাম একেবারেই এদের সাথে পরিপূরক,
কারণ এরা যখন শিকার করতে যায় তখন এমন ভাবে ছায়া করে এরা নিজেদের পাখা গুলো এরা এমনভাবেই মেলে রাখে যে দেখতে পুরোটাই ছাতার মতোই লাগে।
আর এদের গলার অংশ এরা প্রয়োজনে অনেক বাড়িয়ে নেয় তাই তখনও এদের দেখতে অদ্ভুত লাগে।
এই ধরনের পাখিদের মূলত মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার রেন ফরেস্ট জঙ্গলে পাওয়া যায়।
তাহলে এখন হয়তো বুঝতেই পারছেন, পৃথিবীতে এমন বহু প্রজাতির প্রাণী বিরাজ করে যাদের আমরা সবাই জানতেও পারিনা। এক একটা পাখির অনেক ধরনের প্রজাতি ও ব্রিড হতে পারে। তার ফলে এদের প্রজাতি, গণ সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে পৃথিবীতে বংশ বিস্তার করে চলেছে। এমনকি আমরা রোজ যাদের দেখি, হাঁস, মুরগী জাতীয় প্রাণীর বহু ধরনের ব্রিড হয়। তাদের প্রজাতি ভারত, বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত। পাখির মতোই আরো অনেক পশু আছে যাদের দেখা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার।
তাই আজকের প্রবন্ধ এইখানের শেষ করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ।