অজানা মহাবিশ্বের কিছু চোখ ধাঁধানো দৃশ্য ~

অজানা দৃশ্য,

মহাজগতের এই অতিক্ষুদ্র কোন তুলনীয় পৃথিবীতে যে কত সহস্র আশ্চর্য্য দৃশ্যের সমাহার নিয়ে গঠিত তার অন্ত নেই এবং এই জিনিস গুলোর অধিকাংশই এতো তাই অবিশ্বাস্য প্রকৃতির যে বাস্তবে এগুলোর সংস্পর্শে না এসে এগুলোর ব্যাপারে বিশ্বাস করা অসম্ভব হয়ে ওঠে।আজ সেরনি কিছু আশ্চর্য্য জনক বিষয়বস্তুর ব্যাপারে আলোচনা করবো যা আপনার মন কে একবার হলেও এগুলো দেখবার বা এগুলিকে সামনে থেকে উপলব্ধি করার অনুভূতি সৃষ্টি করবেই।তো চলুন শুরু করা যাক।

ভলকানিক লাইটনিং:-

francisco negroni lightning extreme weather photo 1
Volkano lightning
নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে খানিক টা ব্যাপারটা কীরকম।ঠিক ই ধরেছেন। তবে এখানে আগ্নেও-গীরির সেরোম ভূমিকা নেই ভূমিকা বলতে আগ্নেও গিরি থেকে উৎপন্ন ধোয়া র। বিজ্ঞানীদের মতে এটিকে তারা “ডার্টি থান্ডার স্টর্ম” বলে নামকরণ করেছেন। বিশেষত বিভিন্ন কুখ্যাত দ্বীপপুঞ্জে সংগঠিত ঝড়ের সময় এটির সৃষ্টি হয়। অগ্নেও গিরি থেকে উৎপন্ন ধোয়ার মধ্যে থাকা ধূলিকণা, ছাই ইত্যাদির সাথে বাতাসের জলীয় বাষ্প এর সংঘর্ষের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় এই বিশেষ চোখ ঝলকানি কর দৃশ্য,যেখানে বিদ্যুৎ স্ফুলিঙ্গের রং অনেক টা হলুদাভ লাল হয় সেজন্যই এই বিশেষ নামকরণ এনার।

আব্রাহাম লেকের বরফ বাবল:-

ice mountain lake alberta rocky mountains abraham lake wallpaper preview
ice bubble : google\

অ্যালবার্ট কানাডা এর আশ্চর্যময় তার এক অন্যতম পিঠস্থান।বিভিন্ন চোখধাঁধানো দৃশ্য র সমাহার পাওয়া যায় এখানে ।এই বরফ বাবেল ও তার মধ্যে অন্যতম।এই আব্রাহাম লেক এর জল প্রায় সারাবছর ই বরফ জমে থাকে ,উপরের স্তর এ বরফ থাকলেও,নিচে কিন্তু তরল জল মাঝে মধ্যে বিষেওত গ্রীষ্ম কালে থাকে,শীতকালে যখন উষ্ণতা হিমাঙ্কের নিচে চলে যায় তখন সমস্ত লেক e বরফ জমে গেলে, জলের নিচে থাকা ডুবে যাওয়া জিবজ বস্তু গুলোর সাথে জলমধ্যস্ত ব্যাকটেরিয়ার ডি- কম্পোজিশন এর ফলে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয় এই মিথ্যেন গ্যাস ই ছোট ছোট বুদবুদ এর আকারে উপরে উঠতেই, উঠে জমে বরফ এর আকার ধারণ করে ও এক আশ্চর্যজনক বস্তু সৃষ্টি করে।

অস্ট্রেলিয়ার হিলিয়ের পিঙ্ক লেক:-

b8174e9e8c1a313fc662f264361f3fb1
Pink lake :google

অবিস্মরণীয় এই লেক এর দৃশ্য যা আপনার চোখ এ আলোড়ন সৃষ্টি করতে বাধ্য করবে ।সাধারণত সবুজ, বাদামি, অথবা লালচে রঙের জলাশয় আমরা আশেপাশে দেখতেই থাকি কিন্তু এই গোলাপী রঙের লেক দেখলে মনে হবে যেন কোনো বড়ো চুইং গাম এর জলাশয়।স্বভাবতই গোলাপী রঙের এই লেক এর রহস্য কোনো আলকিয় জাদু নয় বরং অন্য কিছু তবে এর প্রকৃত কারণ কি টা বিজ্ঞানীরা আজও সমাধানের উদ্যেশ্যে রয়েছে।

পর্যবেক্ষন এ জানা গেছে এই লেক এর জল সাধারণ সমুদ্রের জলের তুলনায় প্রায় ১০ গুন বেশি লবণাক্ত ।এতটা লবণাক্ত হওয়ার কারণে এই ধরনের অতিমাতৃক লবণাক্ত জলে এক বিশেষ প্রজাতির শৈবাল ওরফে শেওলার বংশবৃদ্ধি অতি মাত্রায় হয়ে থাকে ।এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আনুবিক্ষ্যনিক শৈবাল দের দেহ নিঃসৃত এক বিশেষ ধরনের গোলাপী রঞ্জক ই এই বৃহাদকার রহস্যময় লেক এর গোলাপী রঙের কারণ বলে কিছু কিছু বিজ্ঞানীরা মনে করেন ।তবে এই অনুমান কতটা সত্য আর কতটা নোয় সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা এখনও নেই।

বলিভিয়া সল্ট প্লেট:-

bolivia 29tr01
Bolivia saltplate: google

নাম শুনে এর আশ্চর্য করার ক্ষমতা সমন্ধে ও ধারনা না পাওয়া গেলেও আমাদের আলোচনার অন্যান্য জিনিস গুলির মতই এর বিশেষ কিছু গল্পঃ রয়েছে।
স্যালার ডা ইয়ুনি নামের এই বৃহাদার জলাশয় সমগ্র বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম লবণ তল নামে পরিচিত,প্রায় ১০,৫৮২ বর্গ.কিমি.অঞ্চল এর ক্ষেত্র নিয়ে গঠিত এই লবন তল এক বৃহদ আয়নার মত আমাদের সামনে এসে হাজির হয়। এই দৃশ্য যে আপনার মন মুগ্ধ করবে সে বিষয় নিসন্দেহে বিশ্বাস করা যায়। এই বৃহদ সমতলের উপর দিয়ে হাঁটলে আপনি বুঝতে পারবেন না কোনটা আকাশ এর কোনটা মাটি। সম্পূর্ণটাই এত নিখুত ভাবে আয়নার মত আপনার চোখের সামনে উপস্থাপিত হবে যে আপনার চোখ ধাঁধিয়ে উঠতে বাধ্য।তাই একবার হলেও জায়গা টি ঘুরে আসা যায়।

ভারু মালদ্বীপ সৈকত:-

1534005671 1456807 694396793925324 59570361 n
Vadoo Maldives :google

নাম শুনে কোনো সাধারণ সমুদ্র সৈকত বাবল যে কতখানি ভুল করবেন তা জানেন না।অন্যান্য সমুদ্রের সৈকত এর মতই খানিকটা দেখতে হলেও বিশেষ দৃশ্য ফুটে উঠতে সন্ধ্যে অবধি সময় লাগে, যখন দেখলে মনে হবে যেন সমুদ্রের পাড়ে তারারা ভাসছে। এই মন মেটানো দৃশ্য যে আর কোথাও পাবেন তার কোনো গ্যারান্টি নেই তবে মৃত্যুর আগে একবার সচক্ষে দেখলে যে কোনো ক্ষতি হবেনা তার গ্যারান্টি।


বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনায় জানা গেছে এই সমুদ্র সৈকতে এমন ধরনের কিছু আনুবিক্ষণিক মাইক্রবস থাকে যাদের বেশিরভাগ ই ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন,এবং এরা বায়ো লুমিনিসেন্সে পদ্ধতির মাধ্যমে নিজেদের দেহে আলোর ঝলক তৈরি করতে সক্ষম।এই ধরনের ফাইটো প্ল্যাঙ্কটন খুব ই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হিওয়ায় খালি চোখে দেখা যায় না এবং উপকূলীয় অঞ্চলে বিপুল হারে এদের বাসস্থান ,তাই একসাথে অত সংখ্যক প্ল্যাঙ্কটন এর আলোর ঝলকানির দরুন সমুদ্রের তীরে জল আলোয় ঝকঝক করে ও জেন মনে হয় আকাশের তারারা জলে নেমে এস্ছে,বহু সংখ্যক পর্যটক সারা বছর এই আত্যববনীয় দৃশ্য দেখতে আসেন এই দ্বীপে যা নিঃসন্দেহে আপনার ভ্রমণ যাত্রা কে ব্যর্থ হতে দেবেনা।