নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েক লক্ষ কৃষক গত এক মাসের ওপর হয়ে গেল দিল্লি সীমান্তে বসে প্রতিবাদ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই শীতের মধ্যেও তারা আন্দোলন প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্তে অনড়। এদিকে দেশের বিজেপি বিরোধী বেশিরভাগ বিরোধী দল আন্দোলনকারী কৃষকদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে। বিশেষ করে বামপন্থীরা নানা স্থানে আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থনে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার তাতে সামিল হতে শুরু করেছে বিভিন্ন অরাজনৈতিক মঞ্চগুলি।

আগামী ১১ জানুয়ারি, সোমবার বনগাঁয় দলীয় পরিচয় বিহীন ‘কৃষক সংহতি মঞ্চ’র পক্ষ থেকে আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রতি সংহতি জানানোর উদ্দেশ্যে একটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ঐদিন বনগাঁ শহরের এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের সামনে থেকে ঠিক সকাল ১১ টায় কৃষক সংহতি মঞ্চের নেতৃত্বে আন্দোলনকারী কৃষকদের সমর্থনে এবং কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে একটি মিছিল বের হবে। ওই মিছিল পুরো বনগাঁ শহর ঘুরে এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের সামনে এসেই শেষ হবে।।

১১ তারিখ কৃষক সংহতির উদ্দেশ্যে আয়োজিত মিছিলের সংগঠকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মিছিল শেষের পর এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের সামনে তারা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করবেন। সেই অবস্থান কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় কৃষি আইন সম্বন্ধে এবং আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থনে বিশেষজ্ঞ এবং বিশিষ্ট মানুষরা বক্তব্য রাখবেন। এর পাশাপাশি গান, কবিতা পাঠ, শ্রুতি নাটক, মুখাভিনয় প্রভৃতি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতা করা হবে এবং সেই সঙ্গে আন্দোলনরত কৃষকদের প্রতি সংহতি জানানো হবে।

কৃষক সংহতি মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাদের এই কর্মসূচিতে দলমত নির্বিশেষে যে কোনো মানুষ দলীয় ঝান্ডা ছাড়া সামিল হতে পারেন। তাদের বক্তব্য কৃষক আন্দোলনের ব্যাপকতাকে নির্দিষ্ট দলীয় গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতেই তারা এই মঞ্চ তৈরি করেছেন। সংগঠককরা আশা প্রকাশ করেছেন সচেতন বনগাঁবাসীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই এই কর্মসূচিতে সামিল হবেন।

প্রসঙ্গত দিন তিনেক আগেই বনগাঁয় বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেই বিক্ষোভ সমাবেশে গরুর গাড়ি এনেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। ঐদিন প্রায় দেড় ঘণ্টা যশোর রোড আটকে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব।