নিজস্ব সংবাদদাতা: গত কয়েকমাস ধরেই এক ফুলের মধু খেয়ে অন্য ফুলে লাফ মারছেন বাংলার প্রজাপতি-সম তৃণমূল নেতারা। কখনও দলে থেকে কাজ করতে না পারার অভিযোগ তুলে আবার কখনও টিকিট না পাওয়ার অভিমানে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন একাধিক তৃণমূল নেতা। যার মধ্যে রয়েছেন সিঙ্গুর আন্দোলনের অন্যতম মুখ তথা সেখানকার দীর্ঘদিনের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যর মতো উপরমহলের নেতা।
এমনকি খোদ তৃণমূলের হুগলি জেলার সভাপতি দিলীপ যাদবের মুখ থেকেও সম্প্রতি দলের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার এবং বিদায়ী বিধায়ক এম নুরুজ্জামানের উদ্দেশ্যে যে মন্তব্য শোনা গিয়েছে তা নিয়েও ছড়িয়েছে বিতর্ক। যদিও সেই সমস্ত ঘটনাকে অবশ্য প্রকাশ্যে কখনই গুরুত্ব দিতে চাইছেন না জেলা নেতৃত্ব। বরং সেই সমস্ত অন্তর্কলহকে পিছনে ফেলে এখান নির্বাচনী লড়াইতেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দলের নেতারা। সেই ক্ষেত্রে নির্বাচনে আগে ঠিক কেমন হুগলি জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলের চিত্রটা?
দলের জেলা সভাপতি তথা পুরশুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দিলীপ যাদব জানাচ্ছেন, “জেলার ভোটে কোনও অসুবিধা নেই। ১৮টি আসনেই দল অত্যন্ত ভাল অবস্থায় রয়েছে। বিজেপি কোনও কোনও জায়গায় বিভাজনের রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু মানুষ বুঝে গিয়েছেন বিজেপি মিথ্যা কথা বলে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের জন্য কাজ করেন।” এমনকি এই দলবদলের যে পালা চলেছে তাতেও কোনও অসুবিধা হবে না বলেই দাবি দিলীপ যাদবের। পাশাপাশি জেলায় দলের অভ্যন্তরে কোনও সমস্যা নেই বলেও জানান তিনি।
এরপরই তাঁর দিকে প্রশ্ন ছোঁড়া হয়, তাহলে এই যে কদিন আগে একটি ভিডিওতে আপনার মুখ থেকেই দলের সাংসদ ও বিধায়ককে ‘চোর’ বলতে শোনা গেল? সেই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ যাদবের সাফাই, “ভিডিওটি সম্পূর্ণ না দেখিয়ে একটু অংশ কেটে দেখানো হয়েছে।” এরপরেই তিনি বলেন, “আমি একজন ম্যাচিওর্ড পলিটিশিয়ান। আমি জানি এইসব বলতে নেই। আমরা সবাইকে নিয়েই মানুষের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করব।”