ভোট বড় বালাই। এক একটা ভোট গুরুত্বপূর্ণ। খুব কঠিন নির্বাচন। তাই যত চাপই হোক, করোনা আক্রান্তদের ভোটদানের ব্যবস্থা করা হল বিশেষভাবে। একেবারে হাসপাতালের বেড শুয়ে শুয়েই ভোট দিলেন ভোটাররা। তারা অবশ্য ভোট দিয়ে কিছুটা বিরক্তই। কেন বিরক্ত? তার আগে বলে দেওয়া যাক, করোনার ঢেউ ফের আসার পর দেশের অনেক কাজ থমকে গিয়েছে, তবে ভোট হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়েই।
না, না। ভোটের আবহে থাকা বাঙলা নয়, কথা হচ্ছে ইজরায়েল নিয়ে। ইজরায়েলে আবার ভোট। আসলে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা কোনও দলই পাচ্ছে না, বলে ইজরায়েলে বারবার ভোট হচ্ছে। গত দু বছরে এবার নিয়ে মোট চারবার লোকসভার নির্বাচন (পার্লামেন্ট ইলেকশন) হচ্ছে ইজরায়েলে। ভারতে নয়ের দশকে শেষে যেমনটা হচ্ছিল আর কী। গত ডিসেম্বরে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার পড়ে যায়। তাই এবার ফের নির্বাচন হচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে সফল গণ টিকাকরণ কর্মসূচির পরও নির্বাচন শুরুর আগে ইজরায়েলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ইজরায়েলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে আবার দেশজুড়ে করোনা নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়েছে। কোভিড আক্রান্তদের ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে। দেশের নির্বাচন কমিশনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোভিড আক্রান্তদেরও ভোট দিতে হবে।
২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের পর চলতি বছরের মে মাসে এসে ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ। কিন্তু শুরু থেকেই স্বস্তি ছিল না জোট সরকারে। তারপর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এই সরকার পড়ে যাওয়ায় ভোট হচ্ছে। ২৪টি প্রদেশে ১২০টি আসনে ভোট চলছে। ক্ষমতাসীন দল লিকুড শেষ নির্বাচনে ৩৭টি আসনে জিতেছিল।