নিজস্ব সংবাদদাতা: পূর্ব ঘোষণা মতই আজ দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টে নারদ মামলায় টানা আড়াই ঘণ্টা শুনানি চলল। কিন্তু তাতেও কোনো নিষ্পত্তি হল না। ফের এই মামলার শুনানি হবে আগামীকাল, দুপুর দুটো থেকেই। ফলে আজও ধৃত চার জন নেতামন্ত্রীকে জেল হেফাজতে থাকতে হবে। এদিন ধৃতদের পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের পক্ষে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা। তা ছাড়া রাজ্যের তরফে ছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত।
এদিনের মামলায় মূলত দুটি বিষয় উঠে এসেছিল। বাংলায় এই মামলা চালানো সম্ভব না, এই অজুহাত দেখিয়ে অন্য রাজ্যে তা নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। এছাড়া, আরেকটি বিষয়ের দিকে নজর ছিল সকলের। তা হল, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও দুই প্রাক্তন মন্ত্রী জামিন পান কিনা।
কিন্তু হাইকোর্টে বুধবার মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় আপাতত জেলেই থাকতে হচ্ছে হাই প্রোফাইল এই নেতাদের। আগামীকাল নির্ধারিত হবে তাঁদের ভাগ্য।
দুদিন আগে সিবিআইয়ের টিম সাত সকালে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করে। নিজাম প্যালেসে দিনভর আটক থাকেন তাঁরা। এদিকে বাইরে চলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের অনবরত বিক্ষোভ। পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
এই বিক্ষোভের থিওরিকেই উচ্চ আদালতে হাতিয়ার করেছেন গোয়েন্দারা। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে জামিন মঞ্জুর হলেও সেদিন রাতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। উচ্চ আদালতে জামিন স্থগিত হয়। প্রেসিডেন্সি জেলে তাঁদের চার জনকে নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু জেলে রাত কাটাতে পারেননি তাঁরা। মদন মিত্র আর শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সেদিন রাতেই ভর্তি করতে হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। জেলে অসুস্থ বোধ করেন তাঁরা।
পরদিন সকালেই হাসপাতালে যান সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও। অবশ্য ফিরহাদ হাকিম জেলেই থাকে। তাঁর অসুস্থতা সত্ত্বেও হাসপাতালে যেতে চাননি তিনি। জানা গেছে তাঁর জ্বর আর পেট ব্যথা হয়েছে। কোভিড পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।