অদ্রিজা রায়
#লাইফস্টাইল
সময়টা একটু অন্যরকম। সময়টা আমাদের এখন নিউ নর্মালে অভ্যস্ত। পৃথিবী জুড়ে অতিমারীর যে ছায়া পড়েছিল তা এখনও সরেনি। ছোট থেকে বড়ো সবাই একরকম ভাবে এখনও কমবেশি গৃহবন্দীই। ফলে বাইরের পৃথিবীটাকে দেখতে হচ্ছে অনলাইনে। দিনগুলো এইভাবে কাটাতে কাটাতে যেটা একেবারে হ্রাস পেয়ে গিয়েছে, তা হল পায়ের সঙ্গে মাটির যোগাযোগ। হাঁটাহাটি কমতে কমতে এসে ঠেকেছে একেবারে তলানিতে। আর কেনই বা হবে না তা, এখন যে যুগটাই এরকম। সবাই কম্পিউটার বা মোবাইল নিয়ে কোথাও না কোথাও থিতু হয়ে বসে। ওয়ার্ক ফ্রম হোম আর অনলাইনে স্কুলের ক্লাস করতে হচ্ছে। ফলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রোজকার যে দৌড়াদৌড়ি একসময় ভীষন ক্লান্ত করে দিত আমাদের , তা এখন একদম নেই। কিন্তু এই পরিশ্রমটুকু কমে যাবার ফলে বিপদও ঘনিয়ে আসতে পারে, তা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে তো, তাই না!
সমীক্ষায় জানা গিয়েছে গোটা পৃথিবী জুড়ে মানুষজনের মধ্যে হাঁটাহাঁটি, দৌড়োদৌড়ি, খেলাধূলা এই সব যাতে শারীরিক কসরৎ হয় সেসবই ভীষণভাবে কমে গিয়েছে। ফলে বাড়ছে মেদ, অবসাদ, নানান জটিল রোগও। আগে মর্নিং ওয়াকে যেতেন যাঁরা নিয়মিত, সংক্রমনের ভয়ে তাঁদেরকেও থাকতে হচ্ছে ঘরেই। অফিস-কাছারি স্কুল-কলেজ সবই এখন অনলাইনে হবার ফলে এক জায়গায় বসে কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকার জন্য হচ্ছে চোখের সমস্যাও। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে ঘরে ঘরে। এর থেকে বাঁচতে প্রাথমিকভাবে আমরা শুরু করতে পারি অল্প অল্প হাঁটাহাটি। সবচাইতে ভালো হয় সকালে ঘাসের উপর খালি পায়ে কিছুক্ষণ যদি হাঁটা যায়। কিন্তু তা সম্ভব না হলেও চিন্তা নেই। নরম জুতো, স্নিকার্স পরে নিয়ে কিংবা খালি পায়েই দিনের নির্দিষ্ট কিছু সময় যদি ঘরের মধ্যে হাঁটবার চেষ্টা করা হয় তবে মাংসপেশি সচল থাকে। মেদ জমতে পায় না। ভোরে আর বিকেলে নিয়ম করে খানিকক্ষণ খোলা হাওয়ায় হাঁটলে অবসাদ আমাদের ছুঁতেও পারবে না। হোক না সেটা বাড়ির সামনের ছোট্ট রাস্তা কিংবা ফ্ল্যাটের ব্যালকনি। বয়স্ক মানুষদের অবশ্য শরীরের খেয়াল রেখে ডাক্তারের পরামর্শমতন হাঁটাহাটি করাই শ্রেয়। রক্তচাপ, সুগার, বার্ধক্যজনিত বহু সমস্যা, বিশেষত অবসাদ শুধু নিয়মিত অল্প অল্প হাঁটার মধ্যে দিয়েই নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলা সম্ভব। নিউ নর্মাল জীবনে হাঁটতে হাঁটতে হ্যাপি থাকা কিন্তু তাই খুবই সহজ। শুধু পা বাড়ালেই হল।