নিজস্ব সংবাদদাতা: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই গোটা বাংলায় চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান শুরু হয়ে গিয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে বলেছেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে বিনামূল্যে রোগীর চিকিৎসা করাতেই হবে। রাজ্যের তরফে সেই টাকা পৌঁছবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এমন নির্দেশের পরেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও ভর্তি নেওয়া হয়নি ১ কিশোরকে। তাও আবার শহরেরই একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় তোলপাড়। রাজ্যের একাধিক সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয় সেই খবর। আর তারপরই ভোলবদল! ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই কিশোরকে ভর্তি নিল এসএসকেএম হাসপাতাল। উল্লেখ্য, গতকাল একটি নামী সংবাদমাধ্যম প্রথম তুলে ধরে এই হয়রানির ছবি। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও নামখানার কিশোর অতনু শীটকে ফিরিয়ে দেয় দক্ষিণ কলকাতার ইকবালপুরে নেতাজি সুভাষ নার্সিং হোম।
সূত্রের খবর, গত রবিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগণার নামখানা এলাকার তারাপদ বাঙ্ক রোডে একটি বেপরোয়া টোটো এসে ধাক্কা মারে অতনুকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে নামখানা ও পরে ডায়মন্ডহারবারের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ সঙ্কটজনক হতে থাকায়, সেই কিশোরকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হয়।
সংবাদমাধ্যমের সামনে অতনুর পরিবারের দাবি, ইকবালপুরের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার পর সেই কিশোরকে ভর্তি নিতে রাজি হয় তারা। কিন্তু ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড’ গ্রহণ করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই খবর সম্প্রচারের পরেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা হয় কিশোরের। তবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফিরিয়ে দেওয়ায় সেই নার্সিংহোম কে কোনো শাস্তির মুখে পড়তে হয় কিনা, এখন সেটাই দেখার। তবে পিজিতে চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর সেই কিশোরের অবস্থার খানিক উন্নতি হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের খরচের হিসাব রাখতে কিছুদিন আগেই রাজ্যের তরফ থেকে গঠন করা হয়েছে বিশেষ কমিটি। তবে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দানে অনেক বেসরকারি হাসপাতালই বেঁকে বসছে বারবার। মুখ্যমন্ত্রীর আদেশ বাস্তবে কতটা কার্যকরী হচ্ছে? সংবাদমাধ্যমের আলোয় আসতে না পারা আরো কত রোগীকে এভাবেই হতে হচ্ছে হয়রান? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।