নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউয়ের জেরে বর্তমানে গোটা দেশেই অক্সিজেনের প্রবল অভাব। এমতাবস্থায় কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, দেশের সর্বত্র জায়গা থেকে রোজ ৫০ হাজার মানুষ সাহায্যের আশায় তাঁকে ফোন করছেন। এ ছাড়াও সর্বক্ষণ মেসেজ আসছে তাঁর ইনবক্সে। কিন্তু বিরক্ত হওয়া দূরস্থান, বদলে যতটা পারছেন সকলের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন অভিনেতা সোনু সুদ। কী ভাবে তিনি এত মানুষের সাহায্য করছেন, তার জন্য কী কী করতে হচ্ছে তাঁকে, তা এবার নিজেই জানালেন সোনু। লোক দেখানো ১৮ বা ২০ ঘণ্টা কাজের গল্প শোনাননি সোনু সুদ। তিনি যা যা করছেন, তা প্রতিফলিত হচ্ছে চারদিকে।

কী ভাবে সাহায্য করছেন সোনু সুদ এবং তাঁর টিম? তিনি জানালেন, “সরকারও যে সাহায্য করছে না তা নয়, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। প্রত্যেকটি মানুষের দিকে এখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। আমি কী ভাবে এত কাজ করতে পারছি, জানি না। প্রতি দিন প্রায় ২২ ঘণ্টা ফোন কলে থাকি। আমার এবং আমার টিমের কাছে প্রতি দিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার ফোন কল আসে। আমার ১০ জনের একটা টিম রয়েছে যারা শুধু Remdesivir ওষুধটি খোঁজে। এছাড়াও, আমার অন্যান্য টিম রয়েছে যাঁরা বেডের জন্য, অক্সিজেনের জন্য গোটা শহর চষে ফেলেন। সারা দেশের বহু চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে হয়। তাঁদের যা প্রয়োজন তা দ্রুত পৌঁছে দিতে হয়। যাঁরা আমাদের কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছেন, তাঁরা নিজে থেকেই আমাদের টিমের অংশ হিসাবে থেকে যান।”

উল্লেখ্য, এর আগে ছোট্ট একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন সোনু। তাতেই বোঝা গিয়েছে যে দেশের কত মানুষ বিপদে রয়েছেন। আরও বড় কথা বিপদে সোনুকে মনে করছেন। গত বছর থেকে কোভিড আক্রান্ত দেশের অন্যতম ভরসার মুখ হয়ে উঠেছেন সোনু সুদ। দেশের অনেক মানুষই নিজেদের সাধ্যমতো বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তবে সোনু সাহায্যের পরিভাষা বদলে দিয়েছেন। তবে এত আর্তি দেখে সোনু লিখছেন, “The speed at which we get requests across the country. Trying my best to reach out to everyone. Everyone…Please come forward. We need more helping hands. Do your best to the best of your capabilities.”