নিজস্ব সংবাদদাতা: তৃণমূল কংগ্রেসের মতো একবারে সম্পূর্ণ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি বিজেপি। আর দফায় দফায় গেরুয়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দানা বেঁধেছে ক্ষোভও। ভোটের টিকিট প্রত্যাশীরা উত্তর থেকে দক্ষিণ, বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সর্বত্রই। দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে আসতে ভোটের আগে রীতিমতো অস্বস্তিতে রয়েছে পদ্মফুল। বিজেপির এই অন্তর্কলহের আরো এক নিদর্শন নিঃসন্দেহে গাইঘাটা।
মতুয়া সম্প্রদায় অধ্যুষিত গাইঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির তরফে ভোটে লড়ার টিকিট পেয়েছেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের দাদা সুব্রত ঠাকুর। বলা বাহুল্য, ভাইয়ের সুপারিশেই দাদা দলের টিকিট পেয়েছেন। কিন্তু এই প্রার্থীকে মেনে নিতে নারাজ এলাকার বিজেপি কর্মী সমর্থকদের একাংশ। এদিন তাই গাইঘাটার গেরুয়া প্রার্থীর বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্য তপশিলি মোর্চার সভাপতি দুলাল বর।
ভোটে হেরে সাধারণ কর্মীদের বিপদে ফেলে অস্ট্রেলিয়া চলে যান সুব্রত ঠাকুর, এদিন এমনটাই অভিযোগ আনা হয়েছে দুলাল বর ও অন্যান্য দলীয় কর্মীদের তরফে। এই প্রার্থী বদলের জন্য রীতিমতো ২৪ ঘন্টা সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এদিন শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দুলাল বর আশিস বিশ্বাসরা। তাঁদের অভিযোগ, শান্তনু ঠাকুর দলকে ব্ল্যাকমেইল করে নিজের পদলেহনকারীদের প্রার্থী করেছেন। দলীয় নেতা কর্মীদের এহেন প্রতিক্রিয়ায় চাপে পড়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
এ ব্যাপারে বনগাঁ বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব জানিয়েছেন, তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দুলাল বরদের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা করবেন। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেবেন। এছাড়া, দুলাল বরের রাজ্য তপশিলি মোর্চার সভাপতি হিসেবে পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন এই বিষয়ে জানা নেই। যাঁকে নিয়ে এত অসন্তোষ, এ প্রসঙ্গে গাইঘাটার সেই বিজেপি প্রার্থী সুব্রত ঠাকুরও মুখ খুলতে চাননি। তিনি জানিয়েছেন এ নিয়ে তিনি কিছু বলবেন না। তবে দুলাল বর নির্দল হিসেবে দাঁড়ালেও যে কোনো প্রভাব পড়বে না, সে বিষয়ে আশাবাদী তিনি।