নিজস্ব সংবাদদাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট পেয়েছেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। আসানসোল দক্ষিণ থেকে এবার ঘাসফুলের পতাকায় লড়তে দেখা যাবে তাঁকে। বেশ কিছুদিন ধরেই সায়নী ঘোষের তৃণমূল ঘনিষ্ঠতা এবং বিজেপি বিরোধিতা নিয়ে চলছিল জল্পনা। সেই সূত্রেই রাজনীতিতে টলিউডি যোগের ধারা অব্যাহত রেখে তৃণমূলে পা রেখেছেন তিনি। কিন্তু এহেন অভিনেত্রী তথা নেত্রীকে এদিন তীব্র কটাক্ষে বিদ্ধ করল বিজেপি।
অতীতে একবার শিবলিঙ্গে কন্ডোম পড়ানোয় বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সায়নী ঘোষ। তৃণমূলের টিকিট পাওয়ার পর সেই পুরোনো প্রসঙ্গ টেনেই এদিন ফের তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দাগল গেরুয়া দল। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীর পুরোনো সেই পোস্টের ছবি শেয়ার করে বিজেপির তরফ থেকে লেখা হয়, অতীতের এই কাজের পুরস্কারই এতদিনে দেওয়া হল সায়নী ঘোষকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পুরস্কার দিলেন।
এদিন বঙ্গ বিজেপির ফেসবুক পেজ থেকে সায়নী ঘোষকে কটাক্ষ করে পোস্ট করা হয়। অভিনেত্রীকে সেখানে “পিসির প্রার্থী” হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, “এই সায়নীই শিবলিঙ্গে কন্ডোম পড়ানোর ছবি পোস্ট করে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছিলেন। তার পুরস্কার হিসেবেই কি টিকিট দেওয়া হল?” সায়নী ঘোষের ছবির নীচে “আসানসোল দক্ষিণে পিসির প্রার্থী, আপনারাই বিচার করুন”, লেখা হয় এমন কথাও। বিদ্রুপের ভঙ্গিটা এক্ষেত্রেও সুস্পষ্ট।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় পাঁচ বছর আগে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে শিবলিঙ্গের বিতর্কিত পোস্টটি করেছিলেন। সেখানে দেখা গিয়েছিল যৌন রোগের সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপনী ম্যাসকট বুলাদি শিবলিঙ্গের মাথায় পড়াচ্ছিলেন কন্ডোম। ছবির সঙ্গে লেখা ছিল “ঈশ্বর এর থেকে বেশি কার্যকরী হতে পারেন না।” অবশ্য ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে এমন পোস্ট করা হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন অভিনেত্রী। সেই পোস্টের প্রসঙ্গ টেনেই ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।