নিজস্ব সংবাদদাতা: রবিবার দুপুরে বাংলার আসন্ন নির্বাচনকে মাথায় রেখে নিজেদের তৃতীয় ও চতুর্থ দফা ভোটের জন্য ৬৩ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি।দিল্লীতে বিজেপির সদর দফতর থেকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং গোটা তালিকা ঘোষণা করেছেন। আর তাতেই দেখা গেল, গত লোকসভা ভোটে জিতে আসা বাবুল সুপ্রিয়, স্বপন দাশগুপ্ত, লকেট চট্টোপাধ্যায়, নিশীথ প্রামাণিকদেরদের মতো সাংসদদের ফের প্রার্থী করল দল। সুতরাং দল ভাঙিয়ে যাদের নেওয়া হল, তাদের সুযোগ দেওয়া হল না।
ইতিমধ্যেই শোভন-বৈশাখী বিজেপি ছেড়েছেন। তার ওপর সিঙ্গুরে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, উত্তরপাড়ায় প্রবীর ঘোষাল সিট পেতে বিক্ষোভ শুরু করেছেন স্থানীয় কর্মী-সমর্থকরাই। এই পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে রীতিমত ডামাডোল শুরু হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, টলিউড থেকে টিকিট পেলেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত, পায়েল সরকার, তনুশ্রী চক্রবর্তী। তবে সবকিছুর পরেও জিতে আসা সাংসদদের ফের একবার টিকিট দিয়ে বিধায়ক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করানো আসলে সম্ভাবনাময় মুখের অভাবকেই প্রকট করে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এতজন সাংসদকে কেন প্রার্থী করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরেই।
দেখা যাচ্ছে, বিজেপি তারকার বিরুদ্ধে তারকাদেরই লড়িয়ে দিতে চাইছে। চণ্ডীতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী করা হয়েছে অভিনেতা সোহমকে। তাই টলিপাড়ার আরেক হিরো যশ দাশগুপ্তকে সেখানে দাঁড় করালো বিজেপি। যশ লড়বেন চন্ডীতলা থেকে। এছাড়াও, অভিনেত্রী পায়েল সরকার বেহালা পূর্ব বিধানসভা এবং তনুশ্রী চক্রবর্তী লড়বেন হাওড়া শ্যামপুকুর কেন্দ্র থেকে। কিন্তু কেন একঝাঁক সাংসদকে প্রার্থী করা হল? বিজেপি সূত্রে খবর, ঝড়ের গতিতে বক্তৃতা ও এলাকায় জনপ্রিয়তার দিকে খেয়াল রেখেই একাধিক আসনে দাঁড় করানো হয়েছে সাংসদদের। তবে জানা গিয়েছে, সামনের বছরই রাজ্যসভায় মেয়াদ শেষ হচ্ছে স্বপন দাশগুপ্তের। তাই তার আগেই বাংলার লড়াইয়ের জন্য তাঁকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হল।
এই প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া, বিজেপি দাবি করে তাঁদের নেতার অভাব নেই। তাই যদি হবে তাহলে পাশ করা ছাত্রদের ফের পরীক্ষায় বসানোর প্রয়োজন কী? তৃণমূলকে জবাব দিতে স্বপন দাশগুপ্ত অবশ্য সাফাই গেয়েছেন। তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানোই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। বাংলার পরিবেশ পরিবর্তন করতে হবে। তার জন্য সাংসদ কেন, সমস্ত সাধারণ জনগণের যোগদান প্রয়োজন। যাঁরা একবার জিতে এসেছেন, তাঁরা যে আর ভোটে লড়তে পারবেন না, এমনটা তো কোথাও লেখা নেই।”