শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন দখল করে রেখেছে। দেশে অশান্তির মধ্যে দেশে পেট্রোল-ডিজেলেরও ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এমনকি যানবাহনে তেল আনতে মানুষকে অনেক দিন অপেক্ষা করতে হয়। তাই ইতিমধ্যেই, একটি চমকপ্রদ পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। সারা দেশে সাইকেলের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। মানুষ শ্রীলঙ্কায় খুব দ্রুত সাইকেল কিনছে।
আসলে, শ্রীলঙ্কায় জ্বালানির অভাবে, বেশিরভাগ মানুষ চার চাকার গাড়ি ছেড়ে সাইকেলের দিকে ঝুঁকছে। কিছু ছবি প্রকাশ করে সংবাদ সংস্থা ANI, সাইকেল কেনার সময় এক গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলেছে। সেই গ্রাহক বলেন, “পেট্রোল লাইনে যে সময় লাগে তা আমরা সহ্য করতে পারি না কারণ তখনও পেট্রোল বা ডিজেল পাওয়া যায় না। এ কারণে মানুষ সাইকেল ও গণপরিবহনের দিকে ঝুঁকছে”।
একই সঙ্গে শ্রীলঙ্কায় কয়েকদিন ধরে তেলের কোনও শিপমেন্ট আসেনি বলেও একটি তথ্য রয়েছে। এমনকি পরবর্তী শিপমেন্ট কবে আসবে তাও এখনো জানায়নি সেখানকার সরকার। পেট্রোল পাওয়ার জন্য মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে। আগে পেট্রোল পাওয়ার জন্য পেট্রোল পাম্পে 2-3 ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো, কিন্তু এখন সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়ে কাটাতে হয়।
আরেকটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি সাইকেলের দোকানের মালিক জানান, মে থেকে সাইকেল বিক্রির পরিসংখ্যান দশগুণ বেড়েছে। পেট্রোলের সমস্যার কারণে সবাই সাইকেল চালাতে চাইছে। শ্রীলঙ্কায় হেলমেট এবং তালার মতো স্পেয়ার পার্টসেরও ঘাটতি রয়েছে। তাই মানুষ এখন এমন পরিস্থিতিতে মনোযোগ দিতে চাইছে যেখানে তাদের টাকা ও সময় দুটোই বাঁচে।
অন্যদিকে দেশের এরূপ রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে রাষ্ট্রপতি বর্তমানে কোথায় আছেন সে বিষয়ে কোনও তথ্য নেই। কিন্তু এরই মধ্যে পার্লামেন্টের স্পিকার দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া দেশেই আছেন। শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা অভয়াবর্ধনে সোমবার স্পষ্ট করেছেন যে গোটাবায়া রাজাপাকসে এখনও দেশেই আছেন। তবে দেশের সাধারণ মানুষ তার পদত্যাগের সিদ্ধান্তে এখনও অনড় রয়েছেন।