নিজস্ব সংবাদদাতা- বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী। একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাতকারে তিনি তৃণমূল দল এবং রাজ্য সরকার নাম করে ‘তোলাবাজ ভাইপোর’ বিরুদ্ধে অভিযোগ শুভেন্দুরসম্বন্ধে তোলপাড় ফেলে দেওয়া বিভিন্ন অভিযোগ আনলেন। সেইসঙ্গে দাবি করলেন তার কাছে যাবতীয় তথ্য প্রমাণ আছে, তিনি মামলা মোকদ্দমার ভয় পান না।

সাক্ষাৎকারে সঞ্চালকের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানান ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে চিটফান্ড মামলায় গ্রেপ্তার কেডি সিংয়ের টাকায় লড়াই করেছিল তৃণমূল প্রার্থীরা। তার দাবি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দুই তৃণমূল প্রার্থী ছাড়া বাকিরা সবাই ৭০ লাখ করে টাকার ভাগ পেয়েছিল!

রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রী নাম করে করে জানান রাজ্য পুলিশের কোন কোন অফিসার তার ও বাকি বিজেপি নেতাদের ফোন ট্যাপ করছে। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ জ্ঞানবন্ত সিং, রাজীব কুমারের মতো রাজ্যের শীর্ষস্তরের আইপিএস অফিসাররা বিরোধী নেতাদের ফোন ট্যাপ সহ নজরদারির কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করেই বলেন, “সবাই জানে রাজ্যের আমলাদের পোস্টিং কোথা থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। ডিএম-এসপিদের কার কাছে রিপোর্ট করতে হয় সেসব আমার জানা আছে।” কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত ও পলাতক যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্র সম্পর্কে বলেন, “রাজ্য সরকারের দেওয়া নিরাপত্তারক্ষী পরিবৃত্ত হয়ে ঘুরে বেড়াত। এখন যেমন ঘুরে বেড়াচ্ছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জাহাঙ্গীর খানরা।”

এরই পাশাপাশি তিনি নাম করে অভিযোগ করেন ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে রিগিং করে ভোটে জিতেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, “আঠারোশোটার মতো বুথ আছে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে। তার মধ্যে চোদ্দোশোটা বুথে হেরে গিয়ে বাকি ৪০০ টা বুথে এমন রিগিং করেছে যে সব ভোট নিজের ঝুলিতে চলে এসেছে। তার ফলেই জিতে গিয়েছে।”

এই সাক্ষাৎকারে শুভেন্দু বারবার ‘তোলাবাজ ভাইপোর’ প্রসঙ্গ তোলেন। তার দাবি পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার বালি খাদানগুলিতে তোলাবাজ ভাইপোর রাজত্ব চলে। সেইসঙ্গে কাঁথির অধিকারী পরিবারের এই সন্তান জানান বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে সল্টলেক যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আবার জ্যোতি বসুর নামের ফলক বসানো হবে।