নিজস্ব সংবাদদাতা: আগের বাম আমলে রাজ্যে ইংরেজি শিক্ষায় সরকারের তরফেই গাফিলতি করা হয়েছিল। রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই শোনা যায় এসব কথা। তাই সেই ‘গাফিলতির’ পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেইজন্যই এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল মমতা সরকার। মানুষের মনের কথাই যেন পড়তে পেরেছেন তিনি। করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউনেও মানুষকে এদিকে, মোটা টাকা গুণতে হয়েছে বেসরকারি স্কুলের ফি মেটাতে। তাই যদি সরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থাকত তাহলে ভাল হতে বলে মনে করছেন বহু অভিভাবকরা। সেইমতই মুখ্যমন্ত্রী গতকাল ঘোষণা করলেন, এবার রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে ব্লকে ইংরাজি মাধ্যম স্কুল তৈরি হবে। মমতার এই ঘোষণায় যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল আমজনতা।

গতকাল নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হওয়ার পর নবান্নর সভাঘরে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা। সেখানে তিনি জানান, এবার রাজ্যের প্রত্যেকটি ব্লকে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল তৈরি করবে রাজ্য সরকার। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, শিক্ষা দফতরেও এ বার নতুন মন্ত্রী নিয়োগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৬ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শিক্ষামন্ত্রী করা হয়েছিল। তবে এ বার অধ্যাপক তথা দমদমের বিধায়ক ব্রাত্য বসুকেই শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দিলেন মমতা। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে রাজ্য প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পরও শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ব্রাত্যই।

উল্লেখ্য, সরকারের তরফে এই ইংরেজি মাধ্যম স্কুল তৈরি হলে অনেক কম খরচেই পড়াশোনা করতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। অভিভাবকদের উপর বোঝা হয়ে উঠবে না ফি। আর যারা বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়তে চায়, তারা সেখানেও পড়তে পারবে। সুতরাং বেসরকারি স্কুলের যে বিপুল পরিমাণ ফি সেখান থেকে এবার রেহাই পাবে অভিভাবকরা। পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও একধাপ উপরে নিয়ে যেতে নতুন সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশা মমতা জানিয়েছেন, “সব ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়েরা এখানে পড়াশোনা করবে।” রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে এবার শিক্ষক নিয়োগও গতি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে প্রথমবার রাজ্যে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল তৈরি করেছিল রাজ্য সরকার। যদিও কোভিডের কারণে গতবছর থেকেই তা বন্ধ।